কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
মুদ্রা যোজনায় বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে যে ঋণ দেওয়া হয়, তা তিন ভাগে বিভক্ত। ৫০ হাজার টাকার কম ঋণ নিলে, তার পোশাকি নাম ‘শিশু’। পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ হলে, তার নাম ‘কিশোর’। ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ হলে তাকে ডাকা হয় ‘তরুণ’ নামে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, যাঁরা ‘শিশু’ তকমায় ঋণ পান, টাকার অঙ্কের নিরিখেই ধরে নেওয়া যেতে পারে প্রথমবার ব্যবসার জন্যই তাঁরা পুঁজি জোটাচ্ছেন। এই বিশেষ খাতে গত কয়েক বছর ধরে প্রথম তিন রাজ্যের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
অখিল ভারত স্বর্ণকার সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক টগরচন্দ্র পোদ্দার বলেন, পুরনো পেশাগুলির মধ্যে অন্যতম স্বর্ণশিল্প। অথচ সেই শিল্পের স্বীকৃতি বছরের পর বছর দেয়নি সরকার। অবশেষে তারা ক্ষুদ্রশিল্পের মর্যাদা দিয়েছে এই কাজকে। তার জন্য স্বর্ণকাররা পরিচয়পত্রও পাচ্ছেন। সরকার যখন সেই কাজটুকু করে দিয়েছে, তখন কেন মুদ্রা যোজনায় আমরা ঋণ পাব না? ইতিমধ্যে আমরা কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকে বিষয়টি জানিয়েছি। সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত স্বর্ণশিল্পের সম্মেলনেও আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ওই দাবি তোলা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের সঙ্কট নানা দিকে। সবচেয়ে কঠিন অবস্থা আমদানি শুল্ক নিয়ে। অমরা যেখানে দীর্ঘদিন ধরে ওই শুল্ক তুলে দেওয়ার জন্য বারবার আবেদন জানিয়েছি, সেখানে সরকার তা এবারের আর্থিক বাজেটে ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২.৫ শতাংশ করেছে। এত চড়া হারে আমদানি শুল্ক বিশ্বে একপ্রকার নজিরবিহীন। এতে যেমন সোনার দাম বাড়ছে, তেমনই চোরাই সোনার রমরমা কতটা বেড়েছে, তা সাম্প্রতিকালের ধরপাকড়েই বোঝা যাচ্ছে। কালোবাজারি এতটা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে তার প্রভাব পড়ছে। সরকারের কাছে এই বিষয়ে ফের বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন টগরবাবুরা। পাশাপাশি সোনায় জিএসটিও তিন থেকে কমিয়ে এক শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে, সোনা বা গয়নার দাম মাসিক কিস্তিতে মেটানোর দাবিও তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের যুক্তি, যেখানে আবাসন থেকে শুরু করে যে কোনও পণ্য কেনার ক্ষেত্রে মাসিক কিস্তিতে টাকা মেটোনোর ব্যবস্থা আছে, সেখানে সোনায় কেন তা থাকবে না, তার কোনও জুতসই জবাব নেই। আমর চাই, সেই সুযোগ ক্রেতাদের দেওয়া হোক।