কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
সংস্থার এক কর্তা বলেন, চুক্তি বাতিল এই প্রথম নয়। খাবারের মানের সঙ্গে আমরা কোনও সমঝোতা করছি না। খাবারের দাম বৃদ্ধির অনেক আগেই পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে ডেকে সেকথা বলে দেওয়া হয়েছিল। কেবল বলাই নয়, যেসব সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করা হয়েছে। সেই প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবেই ২৪টি সংস্থার চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। আগামী দিনেও ক্যাটারিং পরিষেবায় এমন নজরদারি বজায় থাকবে।
আইআরসিটিসি সূত্রের খবর, এই দফায় মোট ৪৭টি সংস্থাকে নোটিস দিয়ে খাবারের মান নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। সেই সময়ে দূরপাল্লার ট্রেনে ক্যাটারিং পরিষেবার জন্য মোট ৩৫৮টি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি ছিল। তার মধ্যে ৪৭টি সংস্থাকে নোটিস ধরানো হয়। সতর্ক করার পরও পরিষেবার মান আশানুরূপ না হওয়ায় ২৪টি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। বাকি সংস্থাগুলির পরিষেবার মানও আগামী দিনে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে খবর।
সংস্থার কর্তাদের দাবি, কেবল চুক্তি বাতিলই নয়, দূরপাল্লার ট্রেনে খাবারের মান বাড়াতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল, পরিষেবায় নজরদারির জন্য বর্তমানে দূরপাল্লার ট্রেনে সংস্থার সুপারভাইজাররা থাকছেন। যাত্রীদের কোনও অভিযোগ থাকলে, তাও দেখছেন তাঁরা। দ্বিতীয়ত, ট্রেন-বেস কিচেন এবং ফুড প্লাজায় খাবারের মান যাচাইয়ে তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে পরীক্ষা করানো হচ্ছে। সংস্থার পক্ষ থেকেও যাত্রীদের ‘ফিডব্যাক’ নেওয়া হচ্ছে। বড় বড় বেস কিচেনে ইতিমধ্যেই সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। সেই সিসিটিভির ‘লাইভ’ ছবিও দেখা যায়। দূরপাল্লার ট্রেনে খাবারের মানের পাশাপাশি বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগও ওঠে। এই সমস্যার মোকাবিলায় পিওএস মেশিন থেকে খাবারের বিল দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সংস্থার এক কর্তা বলেন, খাবারের মান বৃদ্ধির পাশাপাশি খাবারে বৈচিত্র্য আনারও চেষ্টা করা হচ্ছে। জোর দেওয়া হয়েছে আঞ্চলিক খাবারের উপরও। খাবারের ক্ষেত্রে ‘চিকেন মিল’, বিরিয়ানি যুক্ত করা হয়েছে। পদ অনুযায়ী খাবার (আ-লা-কার্টা হিসেবে) বিক্রির ব্যবস্থায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে।