প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
গতবার দীনেশ কার্তিককে অধিনায়ক করে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে চেয়েছিলেন কেকেআরের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক শাহরুখ খান, জুহি চাওলারা। কিন্তু নাইটরা পঞ্চম স্থানে শেষ করায় বেশ হতাশ হয়েছিলেন কিং খান। তিনি পণ করেছিলেন, আর যাই হোক দলের দুর্বলতা ঢাকতে মিনি আইপিএলে অর্থ খরচের ক্ষেত্রে কার্পণ্য করবেন না। গতবার কেকেআরকে ভুগতে হয়েছিল পেস বোলারদের অনভিজ্ঞতার কারণে। তাই অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার প্যাট কামিন্সকে এবার ১৫.৫ কোটি টাকা দিয়ে নিয়ে সেই খামতি মেটানোর চেষ্টা হয়েছে। নতুন বলে অজি পেসারটি যদি শুরুতে উইকেট তুলে নিতে পারেন, তাহলে চাপে পড়ে যাবে মুম্বই।
বরাবরই এই দুই দলের লড়াই ঘিরে বাড়তি উন্মাদনা দেখা যায় ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। এই আবুধাবিতেই প্রথম ম্যাচে মুম্বইকে হারিয়ে ২০১৪ সালে খেতাব জিতে আইপিএল শেষ করেছিল কেকেআর। ফ্ল্যাশব্যাকে নাইটরা হয়তো সেই ম্যাচে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করবেন নিশ্চয়ই। কিন্তু এটাও মনে রাখা দরকার, ক্রোড়পতি লিগের ইতিহাসে যে দলগুলির বিরুদ্ধে নাইটদের সাফল্যের হার সবচেয়ে খারাপ, তার মধ্যে অন্যতম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কেকেআর এখনও পর্যন্ত ২৫টি ম্যাচ খেলে জিতেছে মাত্র ৬টিতে। হার ১৯টি ম্যাচে।
তবে উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে হেরে রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও বেশ চাপে। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করবে ঠিকই, তবে কাজটা সহজ হবে না। প্যাট কামিন্সকে নিয়ে বোলিং যেমন শক্তিশালী করেছে কেকেআর, তেমনি ইয়ন মরগ্যান আসায় ব্যাটিং অর্ডারও মজবুত হয়েছে। কাগজে কলমে মুম্বই এগিয়ে থাকলেও বুধবারের ‘আরব্য রজনী’ নাইটদেরও হতে পারে।
প্রথম ম্যাচে কেকেআরের হয়ে ওপেন করতে পারেন সুনীল নারিন ও শুভমান গিল। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নারিনের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স টিম ম্যানেজমেন্টকে আশাবাদী করে তুলেছে। শুভমান এই মুহূর্তে ভারতের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ব্যাটসম্যান। তিন নম্বরে নামতে পারেন নীতিশ রানা। চারে ইয়ন মরগ্যানের খেলার সম্ভাবনাই বেশি। সেক্ষেত্রে পাঁচে দীনেশ কার্তিক। যদিও ডিকে রয়েছেন প্রবল চাপে। তাঁর নেতৃত্বগুণ নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
কেকেআরের আশা-ভরসার কেন্দ্রবিন্দু অবশ্যই আন্দ্রে রাসেল। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারটি মূলত ছ’নম্বর ব্যাট করেন। কিন্তু কোচ ম্যাকালাম জানিয়ে দিয়েছেন, পরিস্থিতি দেখে রাসেলের ব্যাটিং অর্ডার ঠিক করবেন। কেকেআর ব্যর্থ হলেও রাসেলের বেশ কয়েকটি ইনিংস গতবার কেকেআর সমর্থকদের মন জয় করে নিয়েছিল। নিজের দিনে যে কোনও বোলিংয়ের বিরুদ্ধে রাসেল ঝোড়ো ব্যাটিং করে দিতে পারেন।
প্রথম ম্যাচে রোহিত শর্মার বড় রান না পাওয়া মুম্বইয়ের কাছে অশনি সংকেত। তবে হিটম্যান জানেন, আসল সময়ে কীভাবে জ্বলে উঠতে হয়। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের ব্যাটিং খুবই শক্তিশালী। কুইন্টন ডি’কক, সূর্যকুমার যাদব, সৌরভ তিওয়ারি, হার্দিক পান্ডিয়া এবং কিয়েরন পোলার্ডের পাশাপাশি ক্রুনাল পান্ডিয়াও ব্যাট হাতে ম্যাচ জেতাতে পারেন। বোলিংয়ে যশপ্রীত বুমরাহর উপর চাপ বেড়ে গিয়েছে মালিঙ্গা না থাকায়। ট্রেন্ট বোল্ট কিংবা জেমস প্যাটিনসন চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ভালো বল করলেও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছিলেন বুমরাহ। অভিজ্ঞ স্পিনারের অভাব মুম্বইকে ফের ভোগাতে পারে।