আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই সিতাইয়ের কয়েকশো তৃণমূল নেতা-কর্মী হামলার ভয়ে বাড়িছাড়া রয়েছেন। এমনকী সস্ত্রীক বিধায়ক নিজেও বাড়িছাড়া রয়েছেন। তাঁর বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করার অভিযোগও উঠেছিল বিজেপি’র বিরুদ্ধে। বিজেপি’র দাপটে পঞ্চায়েত সমিতির একাধিক সদস্যও এলাকায় ঢুকতে পারছেন না। সিতাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জগদীশবাবুর স্ত্রী সঙ্গীতা রায় বসুনিয়া লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই আর অফিসে যাচ্ছেন না। সেই থেকে তিনিও এলাকার বাইরে রয়েছেন। এই অবস্থায় সিতাই পঞ্চায়েত সমিতির কাজকর্ম লাটে উঠেছে। দপ্তরের কর্মীরা শুধু আসছেন আর ফিরে যাচ্ছেন। পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের কারনে প্রাক বর্ষার সময়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সংস্কার সহ নির্মাণ কাজ করার পরিকল্পনা প্রতিবছরে নেওয়া হয়। এবারে লোকসভা নির্বাচনের কারণে এমনিতে কাজ দেরিতে শুরু করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সভাপতি না আসায় এব্যাপারে কোনও পদক্ষেপই করা যাচ্ছে না। ফলে এবারে বর্ষায় এলাকার সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে। একই সঙ্গে এলাকার বাসিন্দা থেকে স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা সার্টিফিকেট সহ জরুরি কাজেও সভাপতিকে পাচ্ছেন না। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দপ্তরে আসবেন তা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা এখনও পর্যন্ত নেই। আপদকালীন পরিস্থিতিতেও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না পঞ্চায়েত সমিতির কর্মীরা। বিভিন্ন কাজের লক্ষ লক্ষ টাকার বিল বকেয়া থাকায় সেগুলিও দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সভাপতি না থাকায় চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মীদের।
এব্যাপারে বিধায়ক জগদীশবাবু বলেন,লোকসভা নির্বাচনের পর সিতাই জুড়ে একটি অরাজক পরিবেশ তৈরি করেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আমরা এখন বাড়ির বাইরে রয়েছি। সরকারি সুযোগ সুবিধা সাধারণ মানুষ পাবে। কিন্তু এতেও বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। প্রাক বর্ষায় সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়বে এটা জানার পরও এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করে রেখেছে বিজেপি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা এলাকায় গিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করব। বিজেপি’র প্রাক্তন কোচবিহার জেলা সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন বলেন, সিতাইয়ের পরিবেশ অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। যারা গণ্ডগোল করছে তারা আমাদের দলের কেউ নয়। তারা তৃণমূলেরই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী।