আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
রাজ্য সরকার জিটিএ’র প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। দার্জিলিংয়ের প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দার্জিলিং হিলস ইউনিভার্সিটি রাখার এই সিদ্ধান্তে পাহাড়েরর সর্বত্র খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে।
১৯৫৫ সাল থেকেই পাহাড়ে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানিয়ে আসছে পাহাড়বাসী। কিন্তু আজও পাহাড়ে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় দাবি মানা হয়নি। গত বছর রাজ্য সরকার পাহাড়বাসীর দাবি মেনে দার্জিলিংয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির সবুজ সংকেত দিয়ে দেয়।
গত বছর দার্জিলিংয়ের মংপু যোগীঘাট এলাকায় রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিয়ে আপত্তি ওঠে। জিটিএ’র পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দার্জিলিং বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বদলের আর্জি জানানো হয়।
জিটিএ’র চেয়ারম্যান অনীত থাপা বলেন, দার্জিলিং পাহাড়ে ১৯৫৫ সাল থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির দাবিতে আন্দোলন চলছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার পাহাড়বাসীর সেই দাবিকে মর্যাদা দেয়নি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু পাহাড়বাসীর মন বুঝতে পেরে দার্জিলিংয়ের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী দার্জিলিংয়ের প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বদলেও রাজি হয়েছেন।
জিটিএ’র চেয়ারম্যান বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই সহযোগিতা ও বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দেওয়ার জন্য পাহাড়বাসী গর্বিত। দার্জিলিংয়ের প্রাক্তন বিধায়ক অমর সিং রাই ও জিটিএ’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিনয় তামাংও দার্জিলিংয়ের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বদলের আর্জি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
জিটিএ’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিনয় তামাং বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পাহাড়ের ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবে। তাদের স্নাতকোত্তর স্তরে পড়তে বাইরে যেতে হবে না। পাহাড়বাসীর দাবিকে মান্যতা দেওয়ায় আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।