আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
জাপানের ওসাকায় এদিন ব্রিকস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্ণবিদ্বেষ ও সন্ত্রাসবাদে সব ধরনের মদত বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। মোদির মতে, গোটা বিশ্বই সাধারণ কিছু চ্যালেঞ্জর মুখোমুখি। এর মধ্যে রয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের সংরক্ষণশীল মানসিকতা, ডব্লুটিও-র মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে একপেশে সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পরিচালিত করা ও সন্ত্রাসবাদের বিপদ। এই সব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় পাঁচ দফা দাওয়াইয়ের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির কথায়, ডব্লুটিও-কে শক্তিশালী করা, রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে লড়াই, শক্তি ক্ষেত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করার ক্ষেত্রে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এদিন মূলত তিনটি বড় চ্যালেঞ্জের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশগুলিতে বিনিয়োগে আনুমানিক ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের ঘাটতি রয়েছে। প্রয়োজনীয় সম্পদের অভাবের দিকটি প্রতিফলিত হচ্ছে এর ফলে। স্থায়ী উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করা ও সেখানে সব মানুষকে শামিল করানো দ্বিতীয় বড় চ্যালেঞ্জ। আর মানবতার কাছে সবচেয়ে বড় বিপদ হল সন্ত্রাসবাদ। এই সব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় একঝাঁক দাওয়াইও দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে একপেশে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া বন্ধ করার লক্ষ্যে ব্রিকস গোষ্ঠীর পাঁচ দেশকে (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা) একযোগে কাজ করতে হবে। সর্বাঙ্গীন কল্যাণের স্বার্থে আন্তর্জাতিক স্তরের আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রয়োজনীয় সংস্কারে জোর দিতে হবে। বর্ণবিদ্বেষ ও সন্ত্রাসবাদের প্রতি সব ধরনের মদত বন্ধ করতে হবে। আর্থিক উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে স্বল্প মূল্যে তেল ও গ্যাসের মতো সম্পদের জোগান স্বাভাবিক রাখতে হবে। স্থায়ী ও সুসংহত উন্নয়নের জন্য নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ককে (ব্রিকস দেশগুলির সম্মিলিত উদ্যোগে গঠিত) অগ্রাধিকার দিতে হবে। যাতে ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সামাজিক পরিকাঠামো ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির কর্মসূচিতে বিনিয়োগ নিশ্চিত করা যায়। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ‘কোয়ালিশন ফর ডিজাস্টার রিসাইলিয়েন্ট ইনফ্রাস্টাকচার’ সংক্রান্ত যে উদ্যোগ ভারত নিয়েছে, তার ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উন্নত ও উন্নয়শীল দেশগুলিকে সাহায্য করবে। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলার ক্ষেত্রেও এদিন গুরুত্বপূর্ণ দাওয়াই দেন প্রধানমন্ত্রী। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক স্তরে একটি সম্মেলন আয়োজনের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। বৈঠকের পর এদিন ব্রিকস রাষ্ট্রনেতাদের তরফে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। নিজেদের ভূখণ্ডে জঙ্গি কার্যকলাপ ঠেকাতে সব দেশের প্রতি আহ্বান জানানো হয় ওই বিবৃতিতে। সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত ও বেআইনি অর্থের প্রবাহ বন্ধ করার কথা বলা হয়।
ব্রিকস গোষ্ঠীর নেতাদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন পৃথকভাবে বৈঠক করেন জার্মান চ্যান্সেলার আ্যাঞ্জেলা মার্কেল ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জা-ইনের সঙ্গেও। মার্কেলের সঙ্গে বৈঠকে ভারত ও জার্মানির মধ্যে সুসম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে আলোচনা হয় তাঁর।