আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচটি দেশের মধ্যে ফ্রান্স, ব্রিটেন, রাশিয়া এবং আমেরিকা এই অভিজাত গ্রপের সদস্য পদের প্রশ্নে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। এখনও এই নিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি চীন। ভারত বহুদিন ধরেই বলে আসছে একবিংশ শতকের আর্থ-রাজনীতির বাস্তবতার কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার দরকার। দিল্লিও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তা পরিষদের উপর সংস্কার নিয়ে চাপ বাড়াতে ভারত, জার্মানি, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা জি-ফোর নামে একটি গোষ্ঠী তৈরি করেছে।
এদিকে, শুধু আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দিল্লিকে সমর্থন করাই নয়, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও ভারতের অনেক সুবিধা করেছে চীন। রাজ্যসভায় শুক্রবার এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য এবং শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। এদিন তিনি বলেন, ২০১৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত চীন থেকে ভারতে ১২ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকার এফডিআই এসেছে। সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে গাড়ি শিল্পে । এরপরেই রয়েছে বিদ্যুৎ এবং পরিষেবা ক্ষেত্র। চীনের থেকে বাণিজ্য ঘাটতিও অনেকটা কমেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। পীযূষ গোয়েলের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ সালে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ছ’হাজার ৩০০ কোটি ডলার। ২০১৮-১৯ সালে তা কমে এসেছে পাঁচ হাজার ৩৫৭ কোটি ডলারে।
অন্যদিকে, ডুবোজাহজ থেকে অন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা সারার কথা স্বীকার করল বেজিং। ২ জুন গ্লোবাল টাইমসে জেএল-৩ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা জানানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সূচি মেনেই এই পরীক্ষা করা হয়েছে। চীনের হাতে এখন ১৪ হাজার কিলোমিটার পাল্লার এসএলএমবি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রযুক্তিগত দিক থেকে জেএল-৩ তার থেকে অনেক বেশি গতি সম্পন্ন এবং নিখুঁত।
অপরদিকে, উত্তেজনার মাঝেই হংকংয়ের ভিক্টোরিয়া বন্দর হাতে পেতে চলেছে চীনা সেনা। ১৯৯৪ সালে চীন-ব্রিটেন চুক্তির শর্ত মেনেই এই বন্দর শনিবার পিএলএ দখল করবে বলে জানানো হয়েছে। স্বায়ত্তশাসনের প্রশ্নে চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে হংকংয়ের এখন তীব্র টানপোড়েন চলছে। গণতান্ত্রিক কাঠামো নষ্ট করা হচ্ছে জানিয়ে চীনের মূল ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে হংকং। এই বিক্ষোভকে আরও তীব্র করতে হংকং দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্থানীয় নেতারা। ১৯৯৭ সালে ব্রিটেনের থেকে হংকংয়ের অধিকার পায় চীন। সেই দিনকে স্মরণীয় করতেই হংকং দিবস পালন। এর মধ্যে ভিক্টোরিয়া বন্দরের অধিকার নিয়ে হংকং এবং চীনের টানাপোড়েন আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।