মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
এদিন সিট গঠনের ঘোষণা করতে গিয়ে বিভাগীয় পুলিস কমিশনার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে আমি উন্নাও গিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছি। ঘটনার তদন্তে উন্নাওয়ের এএসপি বিনোদ পাণ্ডের নেতৃত্বে একটি পাঁচ সদস্যের দল করা হয়েছে। মামলার সবদিক খতিয়ে দেখে সিট আমাকে রিপোর্ট জমা দেবে।’ তবে, ঠিক কতদিনের মধ্যে সিটকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি তিনি। শুধু জানান, খুব শীঘ্রই রিপোর্ট হাতে আসবে এবং তৎক্ষণাত তিনি তা সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেবেন।
এদিকে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার বৃহস্পতিবারই লখনউ থেকে বিমানে দিল্লি উড়িয়ে আনা হয় ওই তরুণীকে। এরপর দিল্লি ট্রাফিক পুলিস ‘গ্রিন করিডর’ তৈরি করে খুবই কম সময়ে অ্যাম্বুলেন্সকে সফদরজং হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। শুক্রবার সফদরজং হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান শালাব কুমার বলেন, ‘এখনও তরুণীর অবস্থা যথেষ্ট সঙ্কটজনক। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।’ অন্যদিকে, হাসপাতালের সুপার সুনীল গুপ্তা বলেন, ‘আমরা ওই তরুণীর জন্য আলাদা আইসিইউয়ের ব্যবস্থা করেছি। চিকিৎসকদের একটি টিম প্রতিনিয়ত তাঁর উপর নজর রাখছে।’
এদিকে, তরুণীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুক্রবার চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন নির্যাতিতার কাকা। উন্নাওতেই এক ভাড়া বাড়িতে থাকেন নির্যাতিতার কাকা। একটি ছোট দোকানও রয়েছে তাঁর। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওই ব্যক্তি দাবি করেন, অন্যতম অভিযুক্ত শিবম ত্রিবেদীর পরিজনদের তরফে হুমকি ফোন পেয়েছেন তিনি। মামলা তুলে না নিলে দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে তিনি পুলিসে অভিযোগ দায়ের করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পুলিস সুপার বিক্রান্ত বীর বলেন, ‘নির্যাতিতার আত্মীয়কে ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। অবিলম্বে আমরা ওই আত্মীয়ের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছি।’
তবে, হায়দরাবাদ গণধর্ষণকাণ্ডে পুলিসি এনকাউন্টারে চার অভিযুক্তের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁরা ‘খুশি’ বলে জানিয়েছেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতার পরিবার। উন্নাওকাণ্ডেও যাতে অপরাধীদের একইরকম সাজা দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করার দাবি করেছেন তরুণীর পরিজনরা। তরুণীর বাবার কথায়, ‘হায়দরাবাদকাণ্ডের ধর্ষকদের পুলিসি এনকাউন্টারে মৃত্যুর খবরে আমরা খুশি। আমরা এই মামলাতেও একই শাস্তির দাবি করছি। তা না হলে এইধরনের অপরাধ ঘটতেই থাকবে।’ তরুণীর কাকা বলেন, ‘এই ধরনের শাস্তি দেখে অপরাধীরা ভয় পাবে। ভয় না পেলে এই ধরনের অপরাধ কমবে না। আজ আমরা যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছি, কাল হয়তো আপনাদের সেই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে।’