মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
২৭ নভেম্বর: রাজ্যের এক সরকারি পশু হাসপাতালে কর্মরত বছর পঁচিশের প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ স্কুটি নিয়ে সামসাবাদের বাড়ি থেকে বের হন। গন্তব্য ছিল গড়চিবৌলির এক চিকিৎসকের ক্লিনিক। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ তিনি নিখোঁজ হন।
২৮ নভেম্বর: ভোর ৩টে ১০ মিনিট নাগাদ ওই চিকিৎসকের বোন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে সক্ষম হন। সেখানে তিনি জানান, প্রিয়াঙ্কার স্কুটির চাকা ঠিক করে দেওয়ার নাম কয়েকজন তাঁর সঙ্গে আলাপ জমানোর চেষ্টা করে। এরপর সকাল ৯টা নাগাদ ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি কালভার্টের তলা থেকে ওই তরুণীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। পুলিস পরিজনদের খবর দিলে তাঁরাই দেহটি শনাক্ত করেন।
২৯ নভেম্বর: নারায়ণপেটের বাসিন্দা চার অভিযুক্ত— মহম্মদ ওরফে আরিফ (২৬), জল্লু শিবা (২০), জল্লু নবীন (২০) এবং চিন্তাকুন্তা ওরফে চেন্নাকে (২০) গ্রেপ্তার করে সাইবারাবাদ থানার পুলিস।
৩০ নভেম্বর: এফআইআর নিতে গড়িমসি করার অভিযোগে তিন পুলিসকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। ধৃতদের পাঠানো হয় ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে। শহরজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ বিক্ষোভ। অভিযুক্তদের নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিসের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথরও ছোঁড়া হয়।
১ ডিসেম্বর: তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ফাস্ট ট্র্যাক গঠন করে দ্রুত বিচার শেষ করার ঘোষণা করেন। নিহত তরুণীর পরিবারকে সাহায্যেরও আশ্বাস দেন তিনি।
৩ ডিসেম্বর: দ্রুত শুনানির জন্য মেহবুবনগরের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারককে এই বিশেষ আদালতের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
৪ ডিসেম্বর: শাদনগরের আদালত অভিযুক্তদের সাতদিনের পুলিস হেফাজত মঞ্জুর করে।
৬ ডিসেম্বর: ভোর তিনটে নাগাদ ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য অভিযুক্তদের ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পুলিস। পুলিসের অস্ত্র ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিস পাল্টা গুলি চালায়। মৃত্যু হয় চার অভিযুক্তের।