নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ৬ ডিসেম্বর: গতকাল কংগ্রেসের পর আজ সংসদ চত্বরে পেঁয়াজের আগুন দামের বিরুদ্ধে সরব হল তৃণমূল। গান্ধী মূর্তির সামনে এদিন সকালে চলল ধর্না, বিক্ষোভ। পেঁয়াজের দাম কেন বাড়ছে, মোদি সরকারকে তার জবাব দিতে হবে, নইলে গদি ছাড়তে হবে বলে স্লোগান তুললেন দলের এমপিরা। কটাক্ষের সুরে আওয়াজ তুললেন, আচ্ছা দিন আ গয়ে/ পেঁয়াজ কা দাম বড় গয়ে! প্ল্যাকার্ড হাতে সোচ্চার হয়ে সরকারকে চেপে ধরার চেষ্টা করলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার, মহুয়া মৈত্র, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়, শতাব্দী রায় সহ দলের এমপিরা। পেঁয়াজের মালা গলায় পরে প্রতিমা মণ্ডল আর অপরূপা পোদ্দার বিক্ষোভ প্রতিবাদে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। দুই সভায় সব মিলিয়ে তৃণমূলের ৩৫ জন এমপি থাকলেও পেঁয়াজ নিয়ে প্রতিবাদে এদিন হাতে গোনা কয়েকজন মাত্রই উপস্থিত ছিলেন।
যদিও ওই হাজিরা আগামী সোমবার হবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। কারণ, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আসছে সংসদে। সোমবার তা পেশ হবে লোকসভায়। এই বিলকে দেশ বিরোধী, সংবিধান বিরোধী আখ্যা দিয়ে এদিন দলের পক্ষ থেকে সংসদ ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা তথা মুখ্য মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়ান জানান, নাগরিকত্ব বিল রুখতে দলের পক্ষ থেকে ‘হুইপ’ জারি করা হয়েছে। তাই সোমবার থেকে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় আমাদের সবাই হাজির থাকবেন।
একইসঙ্গে নাগরিকত্ব বিল প্রসঙ্গে বিরোধিতার কথা বলতে গিয়ে দলের লোকসভার এমপি সৌগত রায়কে পাশে দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে ডেরেক বলেন, এর আগে যখন সংসদীয় যৌথ কমিটিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আলোচনার জন্য এসেছিল, তখন সদস্য হিসেবে আমি এবং সৌগতবাবু তীব্র প্রতিবাদ করেছিলাম। সরকার সেই বিলের কিছু সংশোধন করে নতুন বিল আনলেও আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে। একই দেশে দু’ধরনের আইন কার্যকর করার চেষ্টা করে ধর্মনিরপেক্ষ দেশকে ভাগ করতে চাইছে মোদি সরকার। অভিযোগ করেন ডেরেক। বলেন, এই বিল তো বটেই, তৃণমূল কোনওভাবেই বাংলায় এনআরসি হতে দেবে না। একইভাবে অন্য বিরোধী রাজ্যগুলিকেও যাতে এনআরসি ইস্যুতে সরব হয়, তার জন্য তৃণমূল উদ্যোগ নিচ্ছে বলেও জানিয়ে দেন তিনি।