ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
এদিন ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানিতে যোগ দেন সাদা জামা, নীল সোয়েটার পরিহিত ৪৮ বছর বয়সি হীরে ব্যবসায়ী। চিফ ম্যাজিস্ট্রেট এমা আরবুথনটের এজলাসে আশা নিয়ে হাজির হলেও শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের ওয়ান্ডসওর্থ জেলেই ফিরতে হয় তাঁকে। আগামী ৪ ডিসেম্বর জেল থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে মামলায় অংশ যোগ দিতে হবে তাঁকে।
এদিন নীরব মোদির জামিনের জন্য কোনও কসুর রাখেননি আইনজীবীরা। চিফ ম্যাজিস্ট্রেট এমা আরবুথনটের এজলাসে শুনানির সওয়াল-জবাব শুরু হওয়ার পরেই মোদির নতুন আইনজীবী হুগো কিথ জামিনের জন্য আবেদন জানান। জামিনের জন্য সুরক্ষা অর্থের পরিমাণ ২০ লক্ষ পাউন্ড থেকে বাড়িয়ে ৪০ লক্ষ পাউন্ড করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি গৃহবন্দি হতেও রাজি বলে জানান আইনজীবী কিথ। যদিও এই সমস্ত প্রস্তাবই পত্রপাঠ নাকচ করে দেন বিচারক। নীরব মোদির আইনজীবী আরও জানান, তাঁদের মক্কেল এই মামলার সাক্ষীদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করবেন না। আগামী বছরের মে মাসে মামলার শুনানির সময় আদালতে আত্মসমর্পণও করবেন তিনি। এমনকী, পলাতক এই হিরে ব্যবসায়ী অবসাদে ভুগছেন বলেও দাবি করা হয়। যদিও এরপরও নীরব মোদিকে জামিন না দেওয়ার সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন চিফ ম্যাজিস্ট্রেট এমা আরবুথনট।
মোদির জামিনের পক্ষে সওয়াল করার পাশাপাশি এই মামলায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন হুগো কিথ। তিনি জানান, গত মাসে জামিনের আর্জির সঙ্গেই নীরব মোদির মানসিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও আদালতে জমা দেওয়া হয়। খামবন্ধ ওই গোপন রিপোর্ট ফাঁস হয়ে যায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে। এই ঘটনায় ভারতের তদন্তকারী সংস্থার দিকেই আঙুল তোলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারকও। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকের রিপোর্ট ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এই ধরনের ঘটনা ভারত সরকারের প্রতি আদালতের বিশ্বাসকে খর্ব করে।’ যদিও নীরব মোদির আইনজীবীর বক্তব্যের বিরোধিতা করেন ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের (সিপিএস) আইনজীবী জেমস লুইস। ভারত সরকারের পক্ষে এই মামলা লড়ছে সিপিএস। এদিন সিপিএসের তরফে জেমস লুইস জানান, চিকিৎসকের গোপন রিপোর্ট ফাঁস হয়ে যাওয়াটা অনভিপ্রেত। তবে ভারতের দিক থেকে এই বিষয়টি ফাঁস হয়নি। পাশাপাশি, জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে তিনি জানান, পরিস্থিতি আগের মতোই রয়েছে। কোনও পরিবর্তন হয়নি। নীরব মোদি ব্রিটেন ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন বলেও দাবি করেন সিপিএসের এই আইনজীবী। পাল্টা মোদির আইনজীবী জানান, ওয়ান্ডসওর্থ জেলে তাঁর মক্কেলকে হামলার শিকার হতে হয়েছে। বুধবার তাঁর সেলের মধ্যে ঢুকে মোদিকে মারধর করে জেলের দুই বন্দি। যদিও এর পরেও নিজের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন চিফ ম্যাজিস্ট্রেট।