ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
বুধবার শুনানির শুরু থেকেই দূষণ রোধে ব্যর্থতা নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন বিচারপতিরা। আদালতের প্রশ্ন, ‘আপনারা দূষণের জন্য মানুষকে এইভাবে মরতে অনুমতি দিতে পারেন? দেশকে ১০০ বছর পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারেন আপনারা?’ আশপাশের রাজ্যগুলিতে ফসলের অবশেষ পোড়ানোই দিল্লির দূষণের অন্যতম কারণ। অথচ এই পোড়ানো বন্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তুলেছে আদালত। ফসল পোড়ানোকে ‘সংগঠিত পাপ’ বলে এদিন মন্তব্য করেছেন বিচারপতিরা। ফসলের অবশেষ পোড়ানো বন্ধ করতে পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারকে একটি রোডম্যাপ বানাতে বলেছে আদালত। সেই অনুযায়ী সাতদিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের পরামর্শ, কৃষকদের থেকে ফসলের অবশেষ সংগ্রহ করা হোক। প্রয়োজনে কিনে নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যসরকারগুলিকে কল্যাণমূলক সরকারের ভূমিকার কথা মনে করে দিয়েছে আদালত। বেঞ্চের কথায়, ‘কল্যাণমূলক সরকারের ভূমিকার কথা ভুলে গিয়েছে রাষ্ট্র। তারা আর ভুক্তভোগীদের কথা ভাবে না। এটা দুর্ভাগ্যের। দূষণ রোধ এবং ফসলের অবশেষ পোড়ানোর সমস্যা মেটাতে গণতান্ত্রিক সরকারের থেকে আমরা আরও বেশি কিছু আশা করি।’ আদালতের আরও মন্তব্য, এটা জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন। আমরা এর জন্য সরকারকেই দায়ী করব।