ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
চলতি বছরের মে মাসে প্রতিষ্ঠা করা হয় ইউকে-ইন্ডিয়া গ্রিন ফিনান্স ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইউকেআইএফডব্লুজি)। ভারতের পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পে আগ্রহ রয়েছে, লন্ডনের এমন সংস্থাগুলির অবদান তুলে ধরতেই তৈরি হয় এই গোষ্ঠী। সেইমতো বৃহস্পতিবার ভারতে গ্রিন ফিনান্স ক্ষেত্রের উন্নয়নে ইউকেআইএফডব্লুজি সুপারিশ সংক্রান্ত রিপোর্টটি পেশ করেছে সিএলসি ও ফিকি। পোশাকি নাম, ‘আনট্যাপড পোটেন্সিয়াল: সুপারচার্জিং গ্রিন ফিনান্স ইন ইন্ডিয়া’। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ম্যাকোয়ারি গ্রুপের ইউকে ক্লাইমেট ইনভেস্টমেন্ট এমডি রিচার্ড অ্যাবেল এবং এইচএসবিসির ভারত শাখার এমডি হিতেন্দ্র দাভে।
এ প্রসঙ্গে সিএলসির প্রধান তথা পলিসি চেয়ার ক্যাথরিন ম্যাক গিনিস বলেন, ‘গ্রিন ফিনান্সের বিশ্বব্যাপী আধার হল ব্রিটেন। প্রকল্পের ধারণা তৈরি থেকে তা ডেলিভারি দেওয়া পর্যন্ত বিনিয়োগের সমস্ত স্তরের বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে। ভারতে বিচিত্র বাজার রয়েছে এবং দু’দেশের মধ্যে এই সহযোগিতা সেখানে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আমূল বদল আনতে সাহায্য করবে। আর সেকারণেই ব্রিটেন-ভারত সম্পর্ককে উন্নীত করার সুযোগ পেয়ে আমরা আনন্দিত।’ ফিকির সেক্রেটারি জেনারেল দিলীপ চিনোই বলেছেন, ‘কম কার্বন নিষ্কাসন, সকলকে নিয়ে স্থিতিশীল বৃদ্ধির লক্ষে পৌঁছতে সাস্টেনেবল ফিনান্স গুরুত্বপূর্ণ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ইউকেআইএফডব্লুজির ‘আনট্যাপড পোটেন্সিয়াল: সুপারচার্জিং গ্রিন ফিনান্স ইন ইন্ডিয়া’র রিপোর্টকে স্বাগত জানাই।’
অন্যদিকে, ইন্ডিয়া-ইউকে ওয়ার্কিং গ্রুপ অন গ্রিন ফিনান্স-এর প্রধান তথা এইচএসবিসি ইন্ডিয়ার এমডি হিতেন্দ্র দাভে বলেছেন, ‘আর্থিক ও পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে ভারত ও ব্রিটেনের পারস্পরিক সহযোগিতা নয়া যুগের সূচনা করেছে।’ আনট্যাপড পোটেন্সিয়াল সংক্রান্ত প্রথম রিপোর্টটি উন্নতমানের এবং গ্রিন ফিনান্স ক্ষেত্রের উন্নয়নে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ভারতের উন্নয়নে বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প নিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। ১২ বছর আগে মুম্বইয়ে তাদের দপ্তর খুলেছে ব্রিটেনের এই সংস্থা।