আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
২০০৬ রাজ্যের বিভিন্ন হাইস্কুলে এই ভোকেশনাল ট্রেনি বা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা হাতেকলমে কাজ শিখে যাতে স্বনির্ভর হতে পারেন। ২০০৬ সাল থেকে কাজ করলেও এতদিন তাঁরা অ্যাডহক বোনাস পেতেন না। তৃতীয়বারের জন্য নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই বিষয়টির উপর আলোকপাত করেছে। মঙ্গলবার অ্যাডহক বোনাস দেওয়ার যে নির্দেশিকা বের করা হয়েছে, তার কপি ট্রেজারি বিল্ডিংয়েও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের মেন্টর মনোজকুমার চক্রবর্তী বলেন, আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে অনেকবার রাজ্য সরকারকে জানিয়েছিলাম। কারণ, উৎসব সবার। অবশেষে এই প্রথম তাঁদের জন্য অ্যাডহক বোনাসের নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়েছে। এই মানবিক উদ্যোগের জন্য আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
রাজ্যের ইউনাইটেড ভোকেশনাল টিচার্স অ্যান্ড ট্রেনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি সৌমেন তালুকদার বলেন, ১৫ বছর পর এই প্রথমবার আমরা অ্যাডহক বোনাস পাব। নির্দেশিকার কপি আমরা দেখেছি। তবে, এটা অনেক আগেই পাওয়া দরকার ছিল। আমাদের সারা রাজ্যে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কর্মরত ব্যক্তি উপকৃত হবেন। তিনি বলেন, অ্যাডহক বোনাস সহ নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে আমরা বহুবার আবেদন করেছি। মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম, দপ্তরের মন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। ভোটের আগে আমরা টার্মিনাল বেনিফিট ও ডেথ বেনিফিট পেয়েছি। এবার আমরা বোনাসও পাচ্ছি। তার জন্য আমরা রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, পর্যাপ্ত না-হলেও এর আগে আমাদের কনট্রাকচুয়াল টিচার ও ইনস্ট্রাক্টর এবং পার্ট টাইম টিচার ও ইনস্ট্রাক্টরদের মাইনে বেড়েছে। তবে, নাইট ওয়াচম্যানদের এখনও বাড়েনি। আমরা আশা করি, ওই বিষয়টিও সরকার দেখবে।