আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
আব কী বার ২০০ পার! বাংলায় সরকার গড়ার এই স্বপ্নকে সামনে রেখে লোকসভার চারজন (এক মন্ত্রী সহ) এবং রাজ্যসভার এক সদস্য সহ পাঁচ এমপিকে বিধানসভার ভোটে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। সাধ ছিল, সরকার হলে, মন্ত্রিসভায় যাবেন তাঁরা। সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়ে বাংলার জনতা তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছেন মমতাকে। পাঁচ এমপি’র মধ্যে তিনজন পরাজিত হয়েছেন। মাত্র ৫৭ ভোটে দিনহাটা কেন্দ্রে জিতেছেন কোচবিহারের এমপি নিশীথ প্রামাণিক। শান্তিপুর কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন রানাঘাটের এমপি জগন্নাথ সরকার। এখন গেরুয়া পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এমপি পদ রেখে বিধায়ক পদ ছাড়বেন ওই দু’জন। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, ‘আব কী বার ২০০ পার’ স্লোগান ‘আব কী বার স্রিফ হার’—হয়ে যাওয়ার জেরে ওই দুই এমপি’কে দিল্লি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য দিনহাট এবং শান্তিপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। উপনির্বাচনে ফের ওই দুই আসনে গেরুয়া পতাকা উড়বেই, এমন সম্ভাবনার কথা নিশ্চিত করে শোনাতে পারছেন না পদ্মশিবিরের কেউই। তাই আপাতত ৭৭ নয়, ৭৫ বিধায়ক নিয়েই বিরোধী বেঞ্চে বসতে হবে বিজেপিকে। অন্যদিকে ২১৩টি আসনে জিতলেও, খড়দহের জয়ী প্রার্থী কাজ সিনহার মৃত্যুর জেরে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা এখন ২১২।
মঙ্গলবার রাতে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে দিনহাটার বিধায়ক নিশীথবাবু বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। এটা দলের নির্দেশ, ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়। শান্তিপুরের সদ্য নিবরাচিত বিধায়ক জগন্নাথবাবু বলেন, যে উদ্দেশ্যে প্রার্থী হয়েছিলাম, তা পূরণ হয়নি। তাই দল যা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, সেটাই শিরোধার্য। নিশীথবাবুর মতোই আমার কাছেও দলের নির্দেশ আসবে।