নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘বুলবুল’ ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা ও তাঁর নেওয়া পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। রবিবার রাজভবনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে রাজ্যপাল বলেছেন, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর আগে থেকেই এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল। যার জেরে ভয়ঙ্কর এই ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কম করা গিয়েছে। রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ, উপকূলরক্ষী বাহিনী, নেভি সহ বিভিন্ন সংস্থার ভূমিকা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন ধনকার।
কেন্দ্র ও রাজ্যের এই সংস্থাগুলির সার্বিক সমন্বয়সাধনের ফলেই বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের পাল্টা প্রতিরোধ গড়া গিয়েছে বলেও মত রাজ্যপালের। অন্যদিকে, আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নামখানা ও বকখালি পরিদর্শনে যাবেন বলে নবান্ন সূত্রের দাবি। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পুর্নগঠনের বিষয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তিনি যোগযোগ করবেন বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল সম্পর্কে আগাম পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন এই দুঁদে আইনজীবী। তাঁর কথায়, আবহাওয়া দপ্তরের নির্ভুল এই পূর্বাভাস দেওয়ার দক্ষতা প্রমাণ করে দেশ বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে অনেকটাই অগ্রসর হয়েছে।
এদিকে, আজ সোমবার জাতীয় শিক্ষা দিবস উপলক্ষে বার্তা দিয়ে গিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে বিঁধেছেন রাজ্যপাল। প্রেস বিবৃতিতি তিনি দেশের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্মদিবসে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন। সেখানে হিন্দু-মুলসমান ঐক্যের ছবি তুলে ধরতে কালাম সাহেবের অবদানের কথা স্মরণ করেছেন। একই সঙ্গে শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান ও মর্যাদাদানের কথা উল্লেখ করেছেন। এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল আক্ষেপের সুরে আরও বলেছেন, দাবিদাওয়া আদায়ে শিক্ষকদের রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কারণ, এই ছবি সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার উপর কুপ্রভাব ফেলে।