উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বারুইপুর পশ্চিম কেন্দ্রে শাসক দলের হেভিওয়েট প্রার্থী বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়। বিপক্ষে সিপিএম থেকে এই কেন্দ্রে প্রার্থী ছাত্র সংগঠনে যুক্ত তরুণ লাহেক আলি। প্রসঙ্গত, ২০১৬-র নির্বাচনে দলের প্রার্থী ছিলেন ধপধপির বাসিন্দা ৫২ বছরের সফিউদ্দিন খান। কার্যত তারুণ্যের উপর জোর দিয়ে ও সংখ্যালঘু ভোট নিজেদের দিকে টানতে সিপিএম এই কেন্দ্রে এবার ছাত্রনেতাকে প্রাধান্য দিয়েছে। বারুইপুর পশ্চিম কেন্দ্রের ১০টি অঞ্চলের মধ্যে কল্যাণপুর, শঙ্করপুর-১ ও ২, ধপধপি-১ ও ২, মদারাট পঞ্চায়েত এলাকায় বেশি সংখ্যায় আছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট।
রাজনৈতিক সূত্রের খবর, সিপিএমের লক্ষ্য শাসক দলের এই ভোটে ফাটল ধরানো। সিপিএম প্রার্থী লাহেক খোদারবাজার এলাকার বাসিন্দা। দীনবন্ধু এন্ড্রুজ কলেজ থেকে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তিনি। ভোটযুদ্ধে প্রথম প্রার্থী হয়েই নেমে পড়েছেন প্রচারে। স্থানীয় মানুষদের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছেন তিনি।
কেমন হবে লড়াই? লাহেক বলেন, কে বিপক্ষে আছে বড় কথা নয়। লড়াই হবে আদর্শ ও নীতির প্রশ্নে। মানুষের কাছে যাচ্ছি বেকারত্বের সমস্যা নিয়ে। বারুইপুর কৃষিপ্রধান অঞ্চল। এখানকার কৃষকদের অবস্থা খারাপ। পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলি ঘুঘুর বাসায় পরিণত হয়েছে। এসবই প্রচারে আনা হচ্ছে।
অন্যদিকে, জয়নগর কেন্দ্রেও নতুন মুখ তুলে এনেছে সিপিএম। ডিওয়াইএফের জেলা সভাপতি দক্ষিণ বারাসতের বাসিন্দা অপূর্ব প্রামাণিককে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। অপূর্ব সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য। তিনি এসএসআইয়ের প্রাক্তন জেলা সম্পাদকও। ২০১৬-র ভোটে এই কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন কংগ্রেসের সুজিত পাটোয়ারি। অনেকেই বলছেন, এবার জয়নগর কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। কারণ, এসইউসি, বিজেপি ও শাসক দলের সঙ্গে লড়তে হবে জোট প্রার্থীকে।
এদিকে, প্রার্থী ঘোষণা হতেই দক্ষিণ বারাসতে মিছিল করে প্রচারেও নেমে পড়েছেন অপূর্ব। প্রথমবার ভোটযুদ্ধে নেমে অপূর্ব বলেন, জয়নগরের স্থানীয় সমস্যা জল, পরিবহণ, রাস্তা খারাপ প্রভৃতি। এই যন্ত্রণায় বছরের পর বছর মানুষ তিতিবিরক্ত। উম-পুনে জয়নগর-১ ও ২ ব্লকে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে তা সবাই জানেন। এসব সমস্যাই প্রচারে তুলে ধরা হবে। দুই প্রার্থীরই আশা, যুব সমাজের ভোট তাঁদের এবার তাঁদের পক্ষেই পড়বে।