উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ লালবাজারের কাছ থেকে এই বিচারাধীন বন্দির বাড়ির ঠিকানা সংগ্রহ করে বিহারের কাটিহারে খবর পাঠিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ইনকোয়েস্ট করা যায়নি। কারণ, পুলিস বা বিচার বিভাগীয় হেফাজতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি জরুরি। ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই নেতাজিনগর থানার অশোকা অ্যাভিনিউয়ে নিজের বাড়িতেই রহস্যজনকভাবে খুন হয়েছিলেন স্বপ্না মুখোপাধ্যায় (৬৫) ও দিলীপ মুখোপাধ্যায় (৭৫)। তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিসের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা জানতে পারেন, গলায় দড়ি জাতীয় কিছুর সাহায্যে শ্বাসরোধ করা হয়েছে স্বপ্না মুখোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি, দিলীপবাবুকে মুখে বালিশ জাতীয় ভারী কিছু চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।
এই নৃশংস খুনের তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা ওই দম্পতির পরিচারিকা, কলের মিস্ত্রি, এক দোকানি, ফিজিওথেরাপিস্টদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একইসঙ্গে সিসিটিভি’র ফুটেজ বিশ্লেষণ করে বিহারের কাটিহার জেলার বারসই থেকে পেশায় রং মিস্ত্রি হামরুজ আলমকে গ্রেপ্তার করেন। ঘটনাচক্রে হামরুজ খুনের দিন পনেরো আগে এই দম্পতির বাড়িতে কাজ করেছিল।
এই মামলার তাৎপর্যপূর্ণ দিক হল, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং হামরুজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ৬৫ বছরের বৃদ্ধা স্বপ্নাদেবীকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর ধর্ষণ করেছিল সে। স্বাভাবিকভাবে পরে এই মামলায় ৩৭৬ ধারা যোগ করে আদালত। এখন মামলাটি আলিপুরের দশম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসে বিচারাধীন। বর্তমানে এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব চলছিল বলে জানা গিয়েছে।