উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
কোভিড পরিস্থিতিতে ভক্তদের মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এখন জনজীবন অনেকটাই স্বাভাবিক। এদিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভক্তদের জল, আলো, স্বাস্থ্য সহ সমস্ত রকম পরিষেবা দেওয়া হয়। নাশকতা রুখতে প্রত্যেক পুণ্যার্থীকে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। মন্দিরের প্রতিটি প্রবেশদ্বারে ছিল কড়া নিরাপত্তা।
সিসিটিভিতে নজরদারির পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিস ও মহিলা পুলিস হাজির ছিল মন্দির চত্বরে। মন্দিরের পুরোহিত সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন, প্রতি বছরই এই দিনে হাজার হাজার পুণ্যার্থী ভিড় করে শিবের মাথায় জল ঢালেন। তবে অন্যান্য বছরের মতো এবার গর্ভগৃহে ভক্তদের প্রবেশে বিধিনিষেধ ছিল। যাঁরা মন্দির চত্বরে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হয়েছে।
শিবরাত্রি উপলক্ষে বিভিন্ন রকম কাহিনি কথিত আছে। জানা যায়, দেবী পার্বতী শিবকে সন্তুষ্ট করার জন্য তপস্যা করেছিলেন। শিব চতুর্দশীর এই দিনে মহাদেব তাঁর তপস্যায় তুষ্ট হয়েছিলেন। অন্যদিকে, কথিত আছে, এক বেদ শিকার করে বাড়ি ফেরার পথে রাত হয়ে যাওয়ায় একটি বেলগাছের নীচে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেদিন ছিল শিব চতুর্দশী। বেলগাছ থেকে বেলপাতা, চুঁইয়ে পড়া জল, নীচে থাকা শিব লিঙ্গের মাথায় পড়লে বেদের শিবলোক প্রাপ্তি হয়। এই দিনে প্রত্যেকেই তাঁর মনস্কামনা পূরণ করার জন্য সারাদিন উপবাস থেকে শিবের মাথায় জল ঢালেন। প্রথা অনুযায়ী, মঠের মহারাজ পালকি চেপে মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনায় মন্দিরে পুজো দেন তারকেশ্বর বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী রামেন্দু সিংহ রায় সহ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।