উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বুধবার এ বিষয়ে এনআরএসের নেফ্রোলজির প্রধান ডাঃ পিনাকী মুখোপাধ্যায় বলেন, আশা করছি, এমাসের শেষদিকে প্রতিস্থাপন শুরু করতে পারব। বেসরকারি ক্ষেত্রে প্রতিস্থাপনের খরচ ১০-১২ লক্ষ টাকা হলেও, এখানে হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। প্রতিস্থাপন পরবর্তী সমস্ত দামি ওষুধপত্রের কোনও খরচও লাগবে না। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এনআরএসের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। যদিও বিজেপির চিকিৎসক শাখার অন্যতম শীর্ষ নেতা ডাঃ ইন্দ্রনীল খানের অভিযোগ, তৃণমূল আমলে রাজ্যের সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা সম্পূর্ণ কলকাতাকেন্দ্রিক। দূর-দূরান্তের জেলাগুলি থেকে হাজার হাজার টাকা খরচ করে কলকাতায় আসতে হচ্ছে। তাও মানুষ বেড পাচ্ছে না, রেফার হচ্ছে। মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এভাবে ক্ষতে প্রলেপ দেওয়া যায় না।
এখন প্রশ্ন হল, ২০২০ সালে প্রতিস্থাপনের লাইসেন্স পাওয়ার পর, প্রথম প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নিতে, এনআরএসের এতদিন সময় লাগল কেন? নেফ্রোলজি বিভাগ সূত্রের খবর, দেরির প্রধান কারণ করোনা। লকডাউন, করোনা বিধি চালু হওয়া, কয়েক মাস বিভিন্ন ধরনের প্ল্যানড অপারেশন বন্ধ থাকা এবং তারপর এনআরএসের ভিতরেই করোনা হাসপাতাল চালু হওয়া—পরের পর ঘটনায় প্রতিস্থাপন পিছিয়ে গিয়েছে। করোনার চাপ কিছুটা কমার পর থেকে ফের নেফ্রোলজি আউটডোরে কাতারে কাতারে রোগী আসছেন। তাঁদের অনেকেই এতদিন চিকিৎসা করাতে পারেননি বা কোনও না কোনও কারণে তাঁদের চিকিৎসা ব্যাহত হয়েছে। এখানকার এক চিকিৎসক বলেন, নেফ্রোলজি আউটোরে আসা প্রায় ২৫০-৩০০ রোগীর মধ্যে অন্তত ১০ শতাংশ এন্ড স্টেজ রেনাল ডিজিজে আক্রান্ত। এই ১০ শতাংশের একটি বড় অংশেরই প্রাণ বাঁচাতে কিডনি প্রতিস্থাপন করা আশু প্রয়োজন। এমন তিনজন রোগীকে প্রতিস্থাপনের জন্য ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে সরকারি ক্ষেত্রে কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু হয় সাতের দশকে। পিজি হাসপাতালে। তারপর বেশ কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয়। তখন বছরে বড় জোর এক বা দু’টি প্রতিস্থাপন হতো। যত সময় এগয়, প্রতিস্থাপনের সংখ্যাও বাড়ে। করোনা পর্বের আগে পিজিতে প্রতি সপ্তাহেই গড়ে দু’টি করে প্রতিস্থাপন হতো। করোনার জন্য কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয়েছে।