আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
(টারসুনভ, ববয়েভ, রাহিমভ, সামিয়েভ) (সুনীল ২)
নিজস্ব প্রতিবেদন: দু’গোলে এগিয়ে থেকেও রক্ষণের ভরাডুবিতে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের প্রথম ম্যাচে তাজিকিস্তানের বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়ল গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। শেষ পর্যন্ত ভারতের হার ২-৪ গোলে। আমেদাবাদের মাটিতে ভারতের প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচে অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর দুটি গোল কোনও মূল্য পেল না। ম্যাচের শেষলগ্নে সুনীলের বদলে মাঠে নামেন জবি জাস্টিন। দেখা গেল, রিজার্ভ বেঞ্চে বসার আগে চরম বিরক্তি প্রকাশ করলেন ভারতের হয়ে ৭০টি গোল করার সুনীল ছেত্রী।
র্যাঙ্কিংয়ে অনেক পিছিয়ে থাকা তাজিকিস্তানের (১২০) বিরুদ্ধে ম্যাচের শুরু থেকেই অ্যাটাকিং ফুটবল খেলতে শুরু করে ভারত (১০১)। উইং দিয়ে আক্রমণে ঝড় তোলেন ইগর স্টিম্যাচের দল। ৪ মিনিটে সাহাল আব্দুল সামাদের থ্রু ধরে চাংটে বক্সে বল নিয়ে ঢুকলে তাঁকে ফাউল করেন তাজিকিস্তানের ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে পানেনকা কিকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে বোকা বানান সুনীল (১-০)। ১১ ও ১৮ মিনিটে উদান্তা সিং বল নিয়ে বক্সে ঢুকে গেলেও একবার বিপক্ষ ডিফেন্ডারের গায়ে মারেন। দ্বিতীয়বার তিনি অবলীলায় পোস্টের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন।
এদিন ভারতের কোচ প্রথম একাদশে আমূল পরিবর্তন করেন। রাইটব্যাকে অভিষেক হয় নরিন্দর গেহলটের। সন্দেশ ঝিংগান ও আনাসকে বাইরে রেখে আদিল খান ও রাহুল বেকের নতুন স্টপার জুটিকে খেলিয়ে দলকে ডোবালেন স্টিম্যাচ। দু’গোলে এগিয়ে থেকেও ভারতের চার গোল হজম করাটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার!
৪০ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে উদান্তার নিচু ক্রস মন্দার রাও দেশাই ফলস দিলে সুযোগসন্ধানী সুনীল প্রথম পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান (২-০)। বিরতির পর দু’গোলে এগিয়ে থেকেও রক্ষণের ব্যর্থতায় ভারত তার ফায়দা নিতে পারল না। ৫৬ মিনিটে ভারতের রক্ষণকে বোকা বানিয়ে তাজিকিস্তানের টারসুনভের শট ভারতের গোলরক্ষক গুরপ্রীতের গায়ে লেগে ছিটকে এলে ফিরতি বল গোলে ঠেলেন টারসুনভ (২-১)। এই গোলটা খাওয়ার পরই ভারতের রক্ষণ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। ৫৮ মিনিটে ভারতের লেফটব্যাক মন্দার রাও দেশাইয়ের ভুল ক্লিয়ারেন্স ধরে টারসুনভের ক্রস ধরে গোল করেন ববয়েভ (২-২)। ৭১ ও ৭৪ মিনিটে তাজিকিস্তানের রাহিমভ ও সামিয়েভের গোল দুটির সময় ভারতের ডিফেন্ডাররা দর্শকের ভূমিকায়! শেষ গোলটি পায়ের তলা দিয়ে গলিয়ে দেন ভারতের গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধু।