আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
শতবর্ষে ইস্ট বেঙ্গলের টিমও অত্যন্ত খুব সাদামাটা। চার বিদেশি বোরহা, কাসিম আইদারা, কোলাডো এবং দিল্লি ডায়নামোজ থেকে আগত স্প্যানিশ স্টপার ক্রেসপি থাকলেও ভারতীয় রিক্রুট শোচনীয়। লালরিনডিকা রালতে ও সামাদ আলি মণ্ডল ছাড়া আর কোনও পরিচিত তারকা ইস্ট বেঙ্গলে নেই। মোহন বাগান থেকে অবশ্য পিন্টু মাহাতো ও অভিষেক আম্বেকরকে নিয়েছে তারা। মোহন বাগান অভিষেককে ছেড়ে দিয়েছিল। পিন্টু সম্বন্ধে কিছুটা উৎসাহী ছিল। শতবর্ষের লাল হলুদ ক্লাবের আকাদেমি থেকে উঠে আসা ফুটবলারের সংখ্যা ১২। এর মধ্যে এবারই প্রথম লাল হলুদ জার্সি গায়ে খেলবেন আট জন। এত খারাপ ভারতীয় রিক্রুট ইদানীংকালে হয়নি লাল হলুদে। চুলোভা ও লালডানমাওইয়া রালতেকে এত চেষ্টা করেও ইস্ট বেঙ্গল সই করাতে ব্যর্থ। আসলে দল গড়তে কোয়েস খুব বেশি খরচ করল না। গত বছর ইস্ট বেঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর তারা প্রচুর মাইলেজ পেয়েছিল। কোয়েসের কোনও প্রোডাক্ট নেই। তাঁরা একটি চপ্পল কোম্পানি ছাড়া আর কোনও স্পনসরও আনতে পারেনি। তাই কম বাজেটে দল গড়তে গিয়ে জি টিভি আয়োজিত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আট ফুটবলারকে সই করিয়েছে। মাত্র ১৮-১৯ দিনের প্র্যাকটিসে তারা লাল হলুদ জার্সি গায়ে খেলতে নামবে। বড় ক্লাবে খেলার চাপ আকাদেমির আনকোরা ফুটবলাররা কি আদৌ নিতে পারবেন? ইস্ট বেঙ্গলের সাবেক কর্তারাও দল নিয়ে নিস্পৃহ। কারণ এপ্রিলের বোর্ড মিটিংয়ে ইস্ট বেঙ্গলের কর্তাদের অজিত আইজ্যাক সাফ জানিয়ে দেন, ‘জবি জাস্টিনের ব্যাপারটি দেখুন। বাকি টিম আমরা করব।’
সাবেক কর্তারা এখন ব্যস্ত ক্লাবের শতবর্ষ নিয়ে। দেশের এক বড় মিডিয়া হাউস ইস্ট বেঙ্গল শতবর্ষের মূল ইভেন্টের স্বত্ত্ব নিতে চলেছে। ভারত গৌরবের জন্য শচীন তেন্ডুলকরের সম্মতি পায়নি ইস্ট বেঙ্গল। শচীনকে আনতে হলে তাঁর বিভিন্ন স্পনসরের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট প্রয়োজন। তাই অতীতে পি সেন ট্রফিতে ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে খেলা কপিল দেবকে ভারত গৌরব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ক্লাব। কপিল লাল হলুদ জার্সি গায়ে মোহন বাগানের বিরুদ্ধে সল্টলেক স্টেডিয়ামে প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচও খেলেছেন। তাই কপিলের সম্মতির অপেক্ষায় ক্লাব। আগামী ১ আগস্ট শতবর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দীর্ঘায়িত হবে বলে এই মুহূর্তে জীবিত প্রায় ৪০ জন অধিনায়ককে সংবর্ধনা দেওয়া হবে ক্লাবের ক্রীড়া দিবস ১৩ আগস্ট।