আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবতী নিখোঁজ হওয়ার পরদিনই ৬ জুন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার সরকার পাড়ায় রেল লাইনের ধার থেকে এক যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এতদিন সেই মৃতদেহের পরিচয় জানা যায়নি। দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে যুবতীর মৃত্যুর ঘটনা জানা যায়। এদিন জলপাইগুড়িতে গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করেন তনুশ্রীর বাবা গোবিন্দ বিশ্বাস। প্রসঙ্গত, ওই যুবতীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে মেখলিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তাঁকে উদ্ধারের দাবিতে মেখলিগঞ্জ মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভও করেছিলেন তাঁর পরিবার ও প্রতিবেশীরা। এদিন মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
৫ জুন মেখলিগঞ্জ শহরে মামার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান ওই যুবতী। এনিয়ে ৮ জুন মেখলিগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। ১১ জুন ছয় অভিযুক্তের নামে অপহরণের অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু পুলিস কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ২৩ জুন বিষয়টি মহকুমা শাসককে লিখিতভাবে জানানো হয়। এরপরও পদক্ষেপ না করায় মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে পরিবার ও প্রতিবেশীরা। টানা আট দিন অবস্থান বিক্ষোভ চলার পর পুলিশের আশ্বাসে তা তুলে নেওয়া হয়। এরমধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিস। পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ির কুর্শামারির বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গেই তার প্রেমের সস্পর্ক তৈরি হয়েছিল। ওই যুবতীকে যুবকটি ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে পাচার করার মতলবে ছিল। কিন্তু পাচার করতে না পেরে মেরে ফেলেছে বলে দাবি পরিবারের। এই ঘটনায় ধূপগুড়ির আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার পরই ওই যুবতীর মৃত্যুর খবর জানা যায়। পরে এদিন জলপাইগুড়ির মর্গে গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করেন তাঁর বাবা।
ওই যুবতীর দিদি বলেন, বোনকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছে ওই যুবক ও তার সঙ্গীরা। তাকে পাচার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পাচার করতে না পেরে মেরে রেললাইনের ধারে মৃতদেহ ফেলে দিয়েছে। পুলিসকে বহুবার জানানোর পরও সময়ে পদক্ষেপ করেনি। পুলিস সক্রিয় হলে একমাস ধরে মৃতদেহ মর্গে পড়ে থাকত না। মেখলিগঞ্জ থানার ওসি কাশ্যপ রাই বলেন, নিখোঁজ যুবতীকে খোঁজার ব্যাপারে আমাদের কোনও খামতি ছিল না। অভিযুক্তদের একজনের কাছ থেকে মৃত্যুর ব্যাপারে তথ্য পাওয়ার পর দেহের সন্ধান মেলে। পরিবারকে দিয়ে দেহ শনাক্তের পর মৃতদেহ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।