আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
জেলার পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন, বারুইপাড়ার এক মহিলাকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার ঘটনায় মঙ্গলবার মঞ্জু দাস নামে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
বিজেপির মহিলা নেত্রী মঞ্জু দাস গ্রেপ্তার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার-২ ব্লক সভাপতি দেবজিৎ সরকার বলেন, ধৃত বিজেপি নেত্রী নারী পাচারে যুক্ত বলে আমরা মনে করছি। তাই পুলিসকে এই ঘটনার সঠিকভাবে তদন্ত করতে হবে। ওই বিজেপি নেত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, পুলিস এখন শাসক দলের নির্দেশে আমাদের কর্মী সমর্থকদের নামে নানা মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। তবু বলছি দলের নারী মোর্চার জেলা সহ সভাপতি মঞ্জু দাসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যদি সত্যি প্রমাণিত হয় তবে দল তাঁর পাশে দাঁড়াবে না।
ধৃত মঞ্জু দাস বলেন, আমাকে চক্রান্ত করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ওই ঘটনায় আমি কোনওভাবেই যুক্ত নই।
প্রসঙ্গত, মাতৃবন্দনা ও কুমারী পুজোর নাম করে ২০ লক্ষ টাকা দেওয়ার টোপ দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় একটি গাড়িতে ছ’জন দুষ্কৃতী বারুইপাড়ার ৪৫ বছরের ওই অবিবাহিত মহিলার বাড়িতে যায়। দুষ্কৃতীরা জানায়, মাতৃবন্দনা ও কুমারী পুজোর জন্য তাদের ছ’ফুট লম্বা অবিবাহিত মহিলার দরকার। তাতেই মহিলার সন্দেহ হয়। এরপরেই তিনি বাড়ির লোকজন এবং প্রতিবেশীদের ডেকে তিন যুবককে হাতেনাতে ধরে ভাটিবাড়ি ফাঁড়ির পুলিসের হাতে তুলে দেন। বাকি তিনজন গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয়।
অভিযোগকারিণীর বাড়ির লোকের অভিযোগ, প্রতিবেশী বিজেপির ওই মহিলা নেত্রীই দুষ্কৃতীদের তাদের বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, এলাকায় নারী পাচারের চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে।