আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
ওই এসআই বলেন, মিড ডে মিলের হিসেব ওই প্রধান শিক্ষকের কাছে চাইতে গেলে তিনি উত্তর না দিয়ে মারমুখী হয়ে ওঠেন। আমার দপ্তরে ভাঙচুর করেন। আমি তাঁকে শোকজ করেছি। বিষয়টি আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছি। শান্তনুবাবু বলেন, আমি কোনও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করার চেষ্টা করলে তার কিছু প্রমাণ তো দপ্তরে থাকত? আমি এসআইকে মারধরের চেষ্টাও করিনি। সমস্ত অভিযোগই ভিত্তিহীন। শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই এইভাবে মিথ্যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে। আমি শোকজের চিঠি পেলে যথাস্থানে জবাব দেব।
রায়গঞ্জ সার্কেলে ৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যেই সমস্ত স্কুলকে মিড ডে মিলের মাসিক হিসেব জমা দিতে হয়। মিড ডে মিল ছাড়াও সরকারি বইপত্র হস্তান্তরের হিসেব, শিক্ষকদের অ্যাটেনডেন্স সহ একাধিক জরুরি হিসেবও তাতে থাকে। এসআইয়ের অভিযোগ, সার্কেলের সমস্ত স্কুল এইসব হিসাব সময়মতো পাঠালেও সুভাষগঞ্জের ওই স্কুল কখনওই তা ঠিক সময়ে দেয় না। এনিয়ে বহুবার ওই প্রধান শিক্ষককে সতর্ক করা হলেও তিনি কান দেননি। মঙ্গলবার এনিয়ে ফের জানতে চাইলে ওই প্রধান শিক্ষক দপ্তরে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন।
অন্যদিকে শান্তনুবাবুর অভিযোগ, ওই এসআই দপ্তরে বেশিরভাগ সময়ে অনুপস্থিত থাকেন। শান্তনুবাবুর রাজনৈতিক পরিচয়কে মাথায় রেখে দিনের পর দিন তাঁকে মানসিকভাবে হেনস্তা করে চলেছেন ওই এসআই। কারণে অকারণে বারবার শুধুমাত্র তাঁর বিদ্যালয়েই পরিদর্শন করা হয়। এদিন এসআইয়ের কিছু কাজ নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি অমূলক অভিযোগ তুলে প্রতিশোধ নিতে চাইছেন।