আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
রাহুলের পদাঙ্ক অনুসরণ করে রবিবার ইস্তফা দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং মিলিন্দ দেওরা। উভয়েই রাহুলের ঘনিষ্ঠ। জ্যোতিরাদিত্যকে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক করে দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। মিলিন্দ দেওরাকে দেওয়া হয়েছিল মুম্বইয়ের দায়িত্ব। কিন্তু দু’টি জায়গাতেই ফেল করেছে কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশে গতবার কংগ্রেসের দুটি আসন ছিল। কিন্তু এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে একটিতে। ৮০টি আসনের মধ্যে রায়বেরিলি থেকে স্রেফ জিতেছেন সোনিয়া গান্ধী। আমেথি থেকে হেরে গিয়েছেন স্বয়ং রাহুলই। তাই উত্তরপ্রদেশে নিজের দায়িত্ব পালন করতে না পারায় ইস্তফা দিলেন জ্যোতিরাদিত্য। তিনি বলেছেন, ‘রাহুল গান্ধী আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু দলের হার হয়েছে।’ তার দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে রাহুলের মতোই ইস্তফা দিলেন জ্যোতিরাদিত্য। কেবল উত্তরপ্রদেশেই ব্যর্থ নয়, মধ্যপ্রদেশের গুনা থেকেও এবার নিজে জিততে পারেননি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
একইভাবে ভোটের আগে সঞ্জয় নিরুপমকে সরিয়ে দিয়ে নিজের ঘনিষ্ঠ মিলিন্দ দেওরাকে মুম্বই কংগ্রেসের সভাপতি করেছিলেন রাহুল। কিন্তু মুম্বইয়েও মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস জিতেছে মাত্র একটিতে। মিলিন্দ নিজেও জিততে পারেননি। জেতাতে পারেননি বলিউড থেকে এমপি হওয়ার আশায় কংগ্রেসে যোগ দেওয়া উর্মিলা মাতণ্ডকরকেও। তাই সরে দাঁড়ালেন দেওরা। ইস্তফা দিয়ে বলেছেন, ‘দলকে একজোট করে লড়ার জন্যই মুম্বই কংগ্রেসের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। কিন্তু আমি ব্যর্থ। তাই সরে দাঁড়াচ্ছি।’
জ্যোতিরাদিত্য এবং মিলিন্দ দেওরা ইস্তফা দেওয়ায় লোকসভা ভোটে দলে বিপর্যয়ের ফলে এখনও পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক, প্রদেশ সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদের ছ’ জন নেতা সরে দাঁড়ালেন। এছাড়া নিচুস্তরের নেতারা তো রয়েইছে। হারের দায় নিয়ে প্রথমেই সরে গিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান রাজ বব্বর। ইস্তফা দিয়েছেন অসমের দায়িত্বপ্রাপ্ত উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত। কিষাণ কংগ্রেসের পদ থেকে সরে গিয়েছেন প্রাক্তন এমপি মহারাষ্ট্রের নানা পাটোলে। পাঞ্জাব থেকে সরে গিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি সুনীল জাখর। এছাড়া মধ্যপ্রদেশের দায়িত্বে থাকা দীপক বাবারিয়া, গোয়ার প্রদেশ সভাপতি গিরিশ চোন্দনকরের পাশাপাশি দিল্লি, তেলেঙ্গানার মতো কয়েকটি রাজ্যের কার্যকরী সভাপতিরাও ইস্তফা দিয়েছেন আগেই। ফলে রাহুল গান্ধী ইস্তফা দেওয়ায় সংগঠন একপ্রকার বেহাল অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে।
শুধু তাই নয়। রাহুল গান্ধী সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোয় রাজ্যে রাজ্যে প্রদেশ সভাপতিরাই বা কীভাবে নিজেদের পদে থাকবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, দাদার দেখাদেখি কি এবার ইস্তফা দেবেন প্রিয়াঙ্কাও? কারণ, রাহুলই তাঁকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। যে দায়িত্ব পালনে সফল হননি তিনি। তাঁর দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রে মা সোনিয়া জিতলেও দাদা রাহুল গান্ধী হেরে গিয়েছেন।