বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
সোমবার ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ দিবস উপলক্ষে হরিশ মুখার্জি রোড এবং বেণীনন্দন স্ট্রিটের সংযোগস্থলের অনুষ্ঠানে যান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, এই প্রকল্প চালু হয় ২০১৬ সালে। তারপর থেকে কলকাতায় দুর্ঘটনা কমেছে ৩৫ শতাংশ। কমেছে দুর্ঘটনায় মৃত্যুও। এও বলেন, আমরা অনেক সময় পুলিসের সমালোচনা করি। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে, রোদ-ঝড়-জলে দাঁড়িয়ে ওঁরা কাজ করেন। এদিন কলকাতা পুলিসের উদ্যোগে ৩০০ মোটরবাইকের একটি মিছিল কলকাতা প্রদক্ষিণ করে।
সোমবারের অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে কলকাতা পুলিস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ট্রাফিক পুলিসকর্মী তপন ওরাঁওকে দেখতে যান মমতা। সাহসিকতার জন্য তপনবাবুর হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। কলকাতার পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা সহ শীর্ষ পুলিশকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বাইকচালকদের হেলমেট পরার ব্যাপারে এদিন বারবার সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মনে রাখবেন, এক-দু’ মিনিটের তাড়াহুড়ো প্রাণঘাতী হতে পারে।
সম্প্রতি কড়েয়া থানা এলাকায় সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউতে শপিং মলের কাছে নাকা চেকিংয়ের সময় হেলমেটহীন এক বেপরোয়া বাইকচালককে ধরতে যান ওই পুলিসকর্মী। তাকে ধরতে ওই পুলিস কনস্টেবল ছুটে আসছে দেখে বাইকচালক পালাতে যায়। সেই সময় এক পথচারীকে ধাক্কা মারে। তপনবাবু কোনওরকমে বাইকের ক্যারিয়ারের অংশ ধরে ফেলেন। তখন বেপরোয়া বাইকচালক ওই অবস্থাতেই তপনবাবুকে হ্যাঁচড়াতে হ্যাঁচড়াতে নিয়ে যায়।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন তপনবাবুর সঙ্গে দেখা করে তাঁর সাহসের প্রশংসা করেন। বলেন, পুলিসকে এভাবেই সাহসের সঙ্গে কাজ করতে হবে। মূল অনুষ্ঠানেও তপনবাবুর কথা উল্লেখ করে বলেন, গত একমাস ধরে রাতে নাকা চেকিং চলছে। গায়ক শিলাজিতের ছেলে ধী মজুমদারের নাম না করে বলেন, চেকিংয়ে সময় গাঁজা, ড্রাগসও ধরা পড়ছে। এভাবে রাতের কলকাতায় বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধ হবে। রাজ্য পুলিস এলাকাতেও এ ধরনের নাকা চেকিং শুরু হবে বলে জানান তিনি। মমতা আরও বলেন, আমাদের দেখাদেখি ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড সরকারও পথ নিরাপত্তা নিয়ে সরকারি প্রকল্প শুরু করেছে।