বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, তফসিলি জাতি ও উপজাতি শংসাপত্র, ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ভাতা, ড্রাইভিং লাইসেন্স, মিউটেশন সহ সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য প্রশাসনের তরফে বহুদিন আগেই একটি সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া রয়েছে। কিন্তু, বহু ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট করে দেওয়া সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষ সেই সমস্ত সুবিধা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয় সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা ও কাজ সঠিক ভাবে হয় না বলে সাধারণ মানুষ অভিযোগ করেন। তাই সাধারণ মানুষের সুবিধা অসুবিধা ও অভাব অভিযোগ শোনার পর দ্রুত সেগুলি সমাধান করতেই জেলা প্রশাসন বিশেষ সেল খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই সেলের মূল অফিসটি জেলাশাসকের অফিসে হবে।
এছাড়াও প্রতিটি মহকুমা শাসক ও বিডিও অফিসে একটি করে শাখা অফিস থাকবে। অফিসগুলিতে সোম থেকে শুক্র পাঁচ দিন অফিস টাইমে গিয়ে তাঁদের অভাব অভিযোগ জানাতে পারবেন। অন্যদিকে, জেলাশাসকের কার্যালয়ের অফিসটিতে সোম থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত যে কোনও ধরনের অভাব অভিযোগ জানানো যাবে। অভিযোগ জানানোর সময়েই অভিযোগকারীর নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর নেওয়া হবে। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগটি নথিভুক্ত করার একটি নম্বর দেওয়া হবে। ব্লক বা জেলা যেখানেই অভিযোগ করুন না কেন এই নম্বর দেওয়া হবে। এরপর অভিযোগকারী তাঁর আইডি নম্বর থেকে হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে তাঁর অভিযোগটি কোন অবস্থায় রয়েছে, তা জানতে পারবেন। শুধু তাই নয়, অভিযোগের নিষ্পত্তি হলে প্রশাসন মোবাইলে মেসেজ দিয়ে জানানোর ব্যবস্থা করবে।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, কোনও কারণে কোনও কর্মী এই সেলে জমা পড়া অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে অযথা দেরি করলে তার বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের দাবি, সত্যিই যদি প্রশাসন সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেয় তাহলে বর্তমানে কোনও কাজে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তা অনেকটাই কমবে।