শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
এদিন গয়নার সোনা, অর্থাৎ ২২ ক্যারেট সোনার ১০ গ্রামের দাম ছিল ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা। দাম অনেকটাই কমেছে রুপোরও। কেজি প্রতি রুপোর দাম নেমে এসেছে ৬১ হাজার টাকায়। অথচ পরিস্থিতি কয়েকদিন আগেও এমনটা ছিল না। গত আগস্টে সোনার দাম ১০ গ্রাম পিছু ৫৭ হাজার টাকায় পৌঁছে যায়। তাতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে মধ্যবিত্ত বাঙালির। বিক্রিবাটায় চরম ভাটা থাকায় বেকায়দায় পড়েন ব্যবসায়ী ও কারিগররাও। ধনতেরাসের আগে থেকে ধাপে ধাপে নাচছে হলুদ ধাতুর দর। তা এই মুহূর্তে বিক্রিবাটা না বাড়ালেও, আগামী দিনে এর প্রভাব বাজারে পড়বে বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি বাবলু দে বলেন, ধনতেরাসের বিক্রিবাটা হয়ে যাওয়ার পর এখন বাজার অনেকটাই ঠান্ডা। তবে সামনেই লগনসা। বিয়ের মরশুমের কেনাকাটা শুরু হবে। আমাদের আশা, সোনার দাম কম থাকায় তাতে কিছুটা অক্সিজেন পাবে বাজার।
চলতি বছরের গোড়ার দিকে করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় বিশ্বজুড়ে অস্থির হয়ে পড়ে বাজার। টালমাটাল শেয়ার বাজার থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ লগ্নির দিকে ঝোঁকেন অনেকেই। সেক্ষেত্রে সবথেকে নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগ সোনা, এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই সোনা কেনার হিড়িক পড়ায় হু হু করে বাড়তে থাকে দাম। তার প্রভাব পড়ে সারা ভারতে—বলা বাহুল্য, এ রাজ্যেও। ক্রমশ লাগামছাড়া হতে থাকে সোনার দাম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন সোনার দাম কমার মূল কারণ দু’টি। প্রথমত, আমেরিকার নির্বাচনের দিকে নজর ছিল বিশ্বের। অতি সম্প্রতি সোনার দামের যে দোলাচল ছিল, তার মূল কারণ আমেরিকা। এখন মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল জানার পর বাজার কিছুটা হলেও স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে। পাশাপাশি করোনার ভ্যাকসিন চালুর বিষয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে বিভিন্ন দেশ। ভ্যাকসিন এলে শীঘ্রই করোনাকে জব্দ করা যাবে, এই বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। তাতেও কিছুটা রাশ টানা গিয়েছে বাজারের দোলাচলে। তাই বিনিয়োগে লাভের আশায় আবারও কিছুটা ঝুঁকি নিতে চাইছেন লগ্নিকারীরা। তাই সোনার দাম কিছুটা পড়ছে।
এবছর করোনা পরিস্থিতির কারণে বাজার টালমাটাল হলেও অন্যান্য বছর দেওয়ালির আগে সোনার দাম চড়ে যায় বলে দাবি করলেন বঙ্গীয় স্বর্ণ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগরচন্দ্র পোদ্দার। তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরেই লক্ষ করছি ধনতেরাসের ঠিক আগে সোনার দাম কিছুটা কমছে। অথচ পুজোর সময় তা অনেকটা চড়া। এতে কারিগররা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কারণ বাজারদর চড়া থাকার কারণে তাঁরা কম কাজ পাচ্ছেন। আবার যখন দাম কমছে, তখন বাজার ততটা ভালো যাচ্ছে না। সেই পরিস্থিতি এবারেও রয়েছে। যাঁরা ছোট দোকানদার, তাঁরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।