শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
গত বছর ২০মে উম-পুন সাইক্লোনে জেলায় সব্জি, বাদাম ও তিল চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সেই সময় প্রায় একশো শতাংশ মৌজাকে ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে ঘোষণা করেছিল প্রশাসন। বিমা সংস্থা ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণ করার পর চাষিদের অ্যাকাউন্টে বিমার সুবিধা দিয়েছে। জেলা কৃষিদপ্তরের সহ অধিকর্তা(শস্য সুরক্ষা) মৃণালকান্তি বেরা বলেন, গত বছর মে মাসে ভারী বৃষ্টি ও উম-পুন সাইক্লোনে জেলায় কৃষিতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্তরা আগেই এসডিআরএফ অনুদান পেয়েছেন। সম্প্রতি ফসল বিমা যোজনার টাকা ঢুকেছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হলে চাষিরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান তারজন্য প্রতিটি মরশুমে আলাদা করে বিমা করা হয়। রাজ্য সরকার চাষির প্রিমিয়াম বিমা সংস্থার কাছে জমা করে। এজন্য চাষিকে কোনও টাকা দিতে হয় না। দুর্যোগে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হলে চাষিরা বিমার সুবিধা পান। রাজ্য সরকার প্রত্যেক মরশুমে ১০০শতাংশ চাষিকে বিমার আওতায় আনার জন্য কৃষিদপ্তরকে উদ্যোগী হতে নির্দেশ দেয়। এক্ষেত্রে কৃষিদপ্তর ও ব্যাঙ্কের ভূমিকা বেশি। চণ্ডীপুর ব্লকের দিবাকরপুর গ্রামের কার্তিক মণ্ডল, জলপাই গ্রামের মানস মাইতি সহ আরও অনেকের অ্যাকাউন্টে বিমার টাকা ঢুকেছে। একইভাবে খেজুরি, নন্দীগ্রাম, এগরা, পাঁশকুড়া, তমলুক প্রভৃতি এলাকার সব্জি, তিল ও মুগ চাষে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা বিমার সুবিধা পেয়েছেন।
গত ২৬মে যশ সাইক্লোন ও জলোচ্ছ্বাসে পূর্ব মেদিনীপুরে ফসলে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৩৮৩টি মৌজা ক্ষতিগ্রস্ত বলে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি গেজেট নোটিফিকেশন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ওই মৌজার প্রত্যেক চাষি এসডিআরএফ থেকে ক্ষতিপূরণ পাবেন। পাশাপাশি বিমার সুবিধাও পাবেন। ১৮জুন পর্যন্ত দুয়ারে ত্রাণ ক্যাম্প চলছে। ১৯থেকে ৩০জুন আবেদন খতিয়ে দেখার কাজ হবে। তারপর ১থেকে ৭জুলাই ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১৩টি ব্লকের ক্ষতিগ্রস্ত ৩৮৩টি মৌজার চাষিদের অ্যাকাউন্টে জমির পরিমাণ অনুযায়ী এক হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা ঢুকে যাবে।
গত বছরের তুলনায় এবছর সাইক্লোনে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কম হয়েছে বলে কৃষিদপ্তরের অফিসাররা জানিয়েছেন। গতবছর জেলায় ৩১৯৯টির মধ্যে ৩১০০মৌজাকে ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এবছর মাত্র ১২শতাংশ মৌজা ক্ষতিগ্রস্ত। জানা গিয়েছে, ২৯০হেক্টর জমিতে মুগ, ৫২৩হেক্টর জমিতে তিল ও ১০হাজার ৭৫০হেক্টর জমিতে বাদাম চাষে হয়। কৃষিতে ২৬১কোটি ১৪লক্ষ টাকা মূল্যের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে, ৪২হাজার হেক্টর কৃষিজমিতে নোনা জল ঢুকেছে। ফলে ওইসব জমিতে আগামী তিন-চার বছর চাষাবাদ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।