আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
জলপাইগুড়ির ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির অন্যতম সদস্য অঙ্কুর দাস বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতে চিকিৎসা নিয়ে তেমন সমস্যা দেখা না দিলেও দিন দিন পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। তাই প্রশাসনের পাশাপাশি ১ মে থেকে আমাদের সংগঠনও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। গত ন’দিনে ১০০ জনের বেশি রোগীকে বিনামূল্যে অক্সিজেন ও নেবুলাইজার দিয়েছি। এরমধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ও হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ক্ষেত্রেও বিনামূল্যে আমাদের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দিয়েছে। তিনি জানান, একটি অ্যাম্বুলেন্স ছাড়াও আমাদের টোটো অ্যাম্বুলেন্স দিন-রাত কাজ করছে। বিশেষ করে গলির ভিতরে যেসব রোগীরা থাকেন তাঁদের জন্য যথেষ্ট উপযোগী হয়েছে এই পরিষেবা। আমাদের টোটো অ্যাম্বুলেন্স তিনটি অক্সিজেন সিলিন্ডার, নেবুলাইজার, পালস অক্সিমিটার, ব্লাড প্রেসার, সুগার মাপার যন্ত্র, ইসিজি সরঞ্জাম সহ ফাস্টএড বক্স থাকে। এগুলি পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষিত লোক আছে। তারা পিপিই কিট পরে মুমূর্ষু রোগীদের ঘরে পৌঁছচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, যখন কোভিড পরিস্থিতিতে বহু জায়গায় অক্সিজেনের আকাল, অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যাচ্ছে না এমন পরিস্থিতিতে বিনামূল্যে এই উদ্যোগ শহরের বহু মানুষের প্রশংসা পেয়েছে। সংগঠনের আরএক সদস্যা সুস্মিতা সর্দার বলেন, আমাদের এই পরিষেবা যাতে মানুষ প্রয়োজনের সময় পেতে পারে তারজন্য আমরা বিভিন্ন ক্লাব, থানা, সংগঠনের কাছে আমাদের ফোন নম্বর দিয়ে রেখেছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত প্রচার চলছে। সংশ্লিষ্ট নম্বরগুলি হল ৮১০১৪৮৪৮৮৯, ১৮০০৮৮৯৬৭৩৭। প্রয়োজনের সময় আমাদের এসব ফোন নম্বরে সঙ্কটাপন্ন রোগীর পরিবার খবর দিলেই আমরা ছুটে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন তাঁদের প্রয়োজন হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারও আমরা বিনামূল্যে পৌঁছে দিচ্ছি। বাড়িতে করোনা আক্রান্তদের পরিষেবা দিতে এগিয়ে এল গ্রিন অ্যাম্বুলেন্স। -িনজস্ব চিত্র