আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
গত শুক্রবারই গৌতমবাবু শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হয়েছেন। দায়িত্ব নিয়েই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলাকে প্রাধান্য দিয়ে তিনি কাজ শুরু করেছেন। পাশাপাশি শহরে সবুজায়নের দিকেও তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছেন। সেইমতো ১০ হাজার গাছ লাগানর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রবিবার গৌতমবাবু বলেন, করোনা সঙ্কটে অক্সিজেনের হাহাকার দেখা দেওয়ায় সকালে গাছ তথা সবুজায়নের গুরুত্ব বুঝতে পারছেন। সুস্থভাবে বাঁচার জন্য গাছ অপরিহার্য। তাই অগ্রাধিকার দিয়ে গোটা শহরে ১০ হাজার বৃক্ষরোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিলিগুড়ি পুরসভার উদ্যোগে এবারে অরণ্য সপ্তাহে এই বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরু হবে। গাছ লাগানোর পাশাপাশি প্রতিটি গাছ যাতে বাঁচে সেদিকেও নজর থাকবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, বৃক্ষরোপণ তথা সবুজায়নের ক্ষেত্রে গৌতমবাবু এর আগেও উদ্যোগ নিয়েছেন। শিলিগুড়ি পুরসভার কাউন্সিলার থাকার সময়ে তিনি নিজের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বৃক্ষরোপণে বিশেষ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। ফলের টানে যাতে পাখি আসে সেই ধরনের প্রচুর গাছ তিনি কলেজপাড়া সহ ১৭ নম্বর ওয়ার্ডজুড়ে লাগিয়েছিলেন। সারা বছর প্রতিদিন সকালে ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে প্রতিটি গাছের পরিচর্চায় তদারকিও করেছেন। তাঁর সেই কাজের সাফল্য হিসেবে শহরের মধ্যে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডেই সব থেকে বেশি গাছ রয়েছে। কলেজপাড়ার রাস্তার ধারে গাছে গাছে সকালে পাখির কলতান শোনা যায়। সবুজায়ন ও পাখির কলরবের কারণেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ কলেজপাড়াকে তাঁদের প্রাতঃভ্রমণের জন্য বেশি পছন্দ করেন।
বৃক্ষরোপণে গৌতমবাবুর এই সাফল্যের জন্য শিলিগুড়ি পুরসভা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডকে অতীতে পুরস্কৃত করেছিল। তাই প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হয়েই গৌতমবাবু বৃক্ষরোপণে বিশেষ নজর দেওয়ায় শহরবাসী খুশি। প্রকৃতিপ্রেমীদের বক্তব্য, পুরসভা যদি শহরে বৃক্ষরোপণকে বাড়তি গুরুত্ব দেয় তাহলে পাড়ায় পাড়ায় আবার বড় বড় গাছ হবে। হারিয়ে যাওয়া পাখিরা ফিরে আসবে। স্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য এটা জরুরি। সেই ক্ষেত্রে এবার থেকে পাড়ায় পাড়ায় বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে গাছ লাগানোর দিকটিও গুরুত্ব পাবে বলে সকলে আশা করছে।
জুলাই মাসে অরণ্য সপ্তাহ থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে। শহরের প্রত্যেকটি এলাকায় গাছ লাগানো হবে। সেইসঙ্গে গাছগুলি যাতে বড় হয়ে ওঠে সেদিকেও সারাবছর নজর রাখা হবে। তারজন্য বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হবে পুরসভার কর্মীদের। পুরসভার পাশাপাশি ১০ হাজার গাছ বাঁচিয়ে তোলার জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বাণিজ্যিক সংস্থাকেও দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।