আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
বিধানসভায় দলের বিরোধী দলনেতা কে হবেন তা আজ ঠিক করবে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ঠিক এই আবহে এবার বিজেপির আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি মনোজবাবুকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা করার দাবি তুলেছেন। আরএসএস ঘনিষ্ঠ মনোজবাবু এবার তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের রাজেশ লাকড়াকে ২৯ হাজার ৬৮৫ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে মাদারিহাট কেন্দ্র থেকে মনোজবাবু পর পর দু’বার জেতেন।
রবিবার গঙ্গাপ্রসাদবাবু বলেন, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ লোকসভায় চলে যাওয়ার পর ২০১৯ সালে মনোজ টিগ্গা বিধানসভায় বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচিত হন। মনোজ সেই দায়িত্ব ভালোভাবেই পালন করেছিলেন। বিরোধী দলনেতার অভিজ্ঞতাও অর্জন করেছেন মনোজ। তাহলে এবার কেন মনোজ বিরোধী দলনেতা হবেন না? তাছাড়া, দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে দলের ফলও ভালো হয়েছে। তাই উত্তরবঙ্গের মানুষের হয়ে আমি দাবি তুলছি মনোজ টিগ্গাকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা করা হোক।
প্রসঙ্গত, গঙ্গাপ্রসাদবাবুর কাছে বিতর্ক যেন জলভাত। ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে দশরথ তিরকি যখন মেদিনীপুরে গিয়ে এক নেতার হাত ধরে অমিত শাহর সভায় বিজেপিতে যোগ দেন, তখন গঙ্গাপ্রসাদবাবু বলেছিলেন, বাইরে গিয়ে যাঁরা দলে যোগ দিচ্ছেন তাঁদেরকে বাইরে রাজনীতি করতে হবে। এখানেই শেষ নয়, আলিপুরদুয়ার আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে অশোক লাহিড়ির নাম ঘোষণা হতেই গঙ্গাপ্রসাদবাবু সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেন, কে অশোক লাহিড়ি, আমি তাঁকে চিনিই না। পর পর এমন বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য গঙ্গপ্রসাদবাবুকে দল দু’বার শোকজ করেছিল। এবার মনোজবাবুকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা করার দাবি তোলার জন্য গঙ্গাপ্রসাদবাবুকে দল ফের শোকজ করে কি না, সেটাই এখন দেখার।