শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
অর্থমন্ত্রকের অধীনে থাকা ডিপার্টমেন্ট অফ এক্সপেন্ডিচার ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে বিভিন্ন দপ্তর যে ব্যয় করেছিল সেই ব্যয় করা অর্থকেই মাপকাঠি ধরে তার তুলনায় ২০ শতাংশ খরচ কমাতে হবে। প্রধানত নির্দিষ্ট প্রকল্পের বাইরে যে খরচ করা হয়ে থাকে, তাতেই রাশ টানা হোক। এক্ষেত্রে যে বিষয়গুলিতে খরচ কমাতে হবে তার একটি প্রস্তাবিত তালিকাও দেওয়া হয়েছে। তালিকায় রয়েছে, ওভারটাইম ভাতা, স্বদেশ ও বিদেশে সরকারি ট্যুর, ভাড়া, ট্যাক্স। বই ও পুস্তিকা প্রকাশ কম করতে হবে অথবা বন্ধ রাখতে হবে। যতটা সম্ভব অনলাইন ব্যবস্থা চালু করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। অফিস চালানোর যে খরচ সেটাও হিসেব কষে দেখতে হবে কোন কোন খাতে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণও অল্প খরচের মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে। প্রশাসনিক কাজে যেটুকু ব্যয় করতেই হবে, তা ছাড়া আর কোনও বরাদ্দ চলবে না। এই নিয়ে দপ্তরের প্রধান আধিকারিকদের একটি চার্ট তৈরি করতে হবে।
২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে করোনা ও লকডাউনের জেরে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির আয় কমে গিয়েছিল। এক বছর তিন মাস ধরে রাজস্ব যেমন কমেছে, তেমনই আবার বিভিন্ন জনকল্যাণ প্রকল্পে খরচ বেড়েছে। যেমন বিভিন্ন আর্থিক প্যাকেজ কিংবা গরিব কল্যাণ যোজনা। ওই টাকা ব্যয় করার জন্য বিপুল অর্থবরাদ্দ দরকার। সেই কারণেই এখন সরকারি স্তরের খরচ কমানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, সরকারের আয়-ব্যয়ের ঘাটতি ঊর্ধগামী। আগামী বাজেটে যার প্রভাব আরও বেশি করে টের পাওয়া যাবে। এই অবস্থায় সরকার চাইছে যতটা সম্ভব খরচ কমাতে।
বিগত দুটি বাজেটেই সরকারের পরিকল্পনা বহির্ভূত খরচ বেশি হচ্ছে। কারণ কোভিড সংক্রমণ। বর্তমানে বছরে ধরে নেওয়া হয়েছিল, কোভিডের সংক্রমণ কমছে এবং ভ্যাকসিনও এসে যাচ্ছে। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউ এসে আবার নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়েছে। অতএব আর্থিক সঙ্কট রয়েই যাচ্ছে।