শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
গত ৮ জুন মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রকের ডেপুটি সেক্রেটারি প্রতীক সিং এবিষয়ে একটি নির্দেশ জারি করেছেন। তাতে বলেছেন, ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত তিন মাসের জন্য এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে। অর্থমন্ত্রক সূত্রের খবর, গত বছর কোভিডের প্রথম ধাক্কার সময় লকডাউন পর্বে একই নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। বর্তমানে দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যতদিন চলবে, ততদিন এই ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। প্রয়োজন হলে ফের একই নির্দেশ জারি করা হবে ৩০ জুনের পর।
ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। তা এখনও চলছে। যার প্রভাব পড়েছে মানুষের মধ্যে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার কেন্দ্রীয়ভাবে দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা না হলেও বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রায় লকডাউনের মতো কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ফলে বিভিন্ন মন্ত্রক, স্বশাসিত সংস্থা সহ কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত বিরাট সংখ্যক চুক্তিভিত্তিক তথা অস্থায়ী কর্মীদের বাড়িতে বসে থাকতে হচ্ছে। তবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এই দিনগুলিকে ‘কাজের দিন’ হিসেবেই গণ্য করা হবে। দিতে হবে তাঁদের সম্পূর্ণ মজুরি বা বেতন। সমস্ত মন্ত্রক, দপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্তা।
এদিকে, এই নির্দেশের কথা জানতে পেরে রাজ্যের শ্রমিক সংগঠনগুলি নড়েচড়ে বসেছে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে যুক্ত এমন নানা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এখানকার শ্রম বা অর্থদপ্তর এমন আদেশ জারি করুক— এই দাবি তুলেছে তারা। বুধবার শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্নার সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে কেন্দ্রের ওই নির্দেশের প্রসঙ্গ তুলে তারা এই দাবি করেছে। বেচারাম এবিষয়ে নবান্নের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, রাজ্যে এমন লক্ষাধিক কর্মচারী রয়েছেন, যাঁরা পরোক্ষে সরকারি দপ্তর বা সংস্থার কাজের সঙ্গে যুক্ত।