আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতির প্রসঙ্গ তুলে সাফ জানান, ‘আমরা সম্পূর্ণ লকডাউন চাই না। লকডাউনের ঘোষণা না করে, লকডাউনের মতো সাধারণ মানুষকে আচরণ করতে হবে। নিজেরা ঠিক করব যে, খুব প্রয়োজন ছাড়া বেরব না। কারণ, লকডাউন ঘোষিত হলে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে। দরিদ্র মানুষ না খেতে পেয়ে মরে যাবে, সেটা আমরা চাই না। দিন আনি, দিন খাই মানুষের খুব অসুবিধা হবে।’ করোনা প্রতিরোধে হাসপাতালে বেড বাড়ানো, অক্সিজেনের ব্যবস্থা, সেফ হোম তৈরির পাশাপাশি লোকাল ট্রেন বন্ধের মতো অন্যান্য ব্যবস্থার কথাও এদিন জানিয়েছেন মমতা। তিনি আরও বলেন, সামনেই ঈদ। ছোট করে যাতে প্রার্থনা সভা হয়, তার জন্য আবেদন করা হয়েছে। গত বছরের মতো এবারও রেড রোডে নামাজ পড়া বন্ধ থাকছে।
বিকেলে নবান্ন সভাঘরে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে হাজির ছিলেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের দিলীপ মহারাজ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। বৈঠকে কোভিড রোগীদের জন্য তাদের তরফে হাসপাতালের বেড বাড়ানো, সেফ হোম তৈরির কথা জানিয়েছেন রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ। প্রবীণ ইমাম আলি ফজলুর রহমান এবং নাখোদা মসজিদের ইমামও রাজ্য সরকারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। কোনও মানুষের খাবারের অভাব হবে না, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রতিশ্রুতি দেয় পোস্তা বাজার কমিটিও। ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের পক্ষে শাশ্বত বসু জানান, সব পুজো কমিটি যাবতীয় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
অন্যদিকে, মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ‘মা, মাটি, মানুষ’কে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব বাংলার সংহতি, ঐক্য, শান্তি, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। কোভিড মোকাবিলা এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধেও তোপ দাগে মমতা। তিনি বলেন, কেন্দ্রের কাছে আমরা তিন কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছি, দিয়েছে মাত্র এক লক্ষ। আমরা চাই, সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হোক। কিন্তু কেন্দ্র সাহায্য করছে না।