আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
শহরে না থেকেও বারাণসী থেকে রবীন্দ্রনৃত্যের ভিডিও পাঠালেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর চিকিৎসক কন্যা অগ্নিপর্ণা। কী নিয়ে না আলোচনা হল! লালন ফকিরের লেখা ও রবীন্দ্রসঙ্গীত, পদাবলি ও রবীন্দ্রচিন্তা, দুঃসময় ও ঘুরে দাঁড়াতে রবীন্দ্রভাবনা! দিনরাত কোভিড রোগীদের বাঁচাতে যাঁদের চোখ থাকে মনিটরে, তাঁদের গলায় ওইদিন শুধু ছিল রবীন্দ্রনাথই। মেডিক্যাল কলেজ কোভিড টাস্ক ফোর্স-এর চেয়ারম্যান ডাঃ উদাস ঘোষের স্ত্রী শোনালেন, ‘আমার মন যখন জাগলি না রে...’। আপাত কাঠখোট্টা অন্তরে সজীব ট্রপিকাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান মাইক্রোবায়োলজি’র নামজাদা অধ্যাপক বিভূতি সাহা গাইলেন, ‘আমার হিয়ার মাঝে..’। এক্সপার্টদের অন্যতম ডাঃ জ্যোতির্ময় পাল শোনালেন ‘ডাকঘর’ নাটক, করলেন সঞ্চালনা।
করোনা মোকাবিলা করতে করতে কবিগুরুকে স্মরণ? এসময় আরও দু’জন মরণাপন্ন রোগী দেখলে বেশি কাজ দিত না? জ্যোতির্ময়বাবু বলেন, রবীন্দ্রনাথ আমাদের সব কাজে। আর যিনি জীবনে এতবার মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখেছেন, তাঁর সৃষ্টি থেকেই তো আমরা শক্তি পাব। যাঁরা দেড় বছর ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে করে ক্লান্ত, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে রবীন্দ্রনাথের মতো আর কে আছেন? ন’টা থেকে ১০টা অনুষ্ঠান হয়েছে। আমরা, কোভিড যোদ্ধারা অনুষ্ঠান শেষে যেন পুনরুজ্জীবিত হয়েছি। যেন মৃতসঞ্জীবনী মন্ত্র দিয়েছেন ‘গুরুদেব’। পাশাপাশি যাঁরা সঙ্গে নেই, তাঁদেরও স্মরণ করেছি ওই এক ঘণ্টায়। ‘ডাকঘর’-এর কথা মনে করিয়েছি। শেষ বাক্যটা মনে আছে তো? যখন রাজকরিবাজকে সুধা বলছে অমলকে মনে করিয়ে দিতে, ‘বলো যে, সুধা তোমাকে ভোলেনি।’ আমরাও করোনায় হারিয়ে যাওয়া মানুষদের ভুলিনি—আবেগরুদ্ধ উত্তর ছিল জ্যোতির্ময়বাবুর।