আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
এদিন মন্ত্রীর দায়িত্বভার নিয়েই নিজেই দু’টি দপ্তরের কাজ বুঝে নিয়েছেন ইন্দ্রনীল সেন। চন্দননগরে এবারে তাঁর জয়ের ব্যবধান এমনিতেই চমক তৈরি করেছিল। তারপরে তাঁর দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে বলে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। কার্যক্ষেত্রে হয়েছেও তাই। পর্যটনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বভারও গতবারের মতো এবারও তাঁর কাছে থাকছে। বিশিষ্ট গায়ক একদা তারকা প্রার্থী হিসেবে চন্দননগরে এসেছিলেন। গত পাঁচবছরে তিনি চন্দননগরবাসীর মন জয় শুধু করেছেন তাই নয়, ঘরের মানুষ হয়ে উঠেছেন। একইসঙ্গে এবারের নির্বাচনে দেখা গিয়েছে এক পুরোদস্তুর রাজনৈতিক নেতা ইন্দ্রনীল সেনকে। দল সূত্রে খবর, যেভাবে এবারের নির্বাচন তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠমহলকে দিয়ে পরিচালনা করেছেন, তা অনেক পোড়খাওয়া রাজনীতিককে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বস্তুত তাঁর এই সার্বিক ‘পারফরম্যান্স’-এর পুরস্কারই তিনি পেয়েছেন বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। ২০১১ সাল থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম পাখির চোখ রাজ্যের পর্যটন পরিকাঠামোর উন্নতি। ইন্দ্রনীলবাবু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যের পর্যটন ব্যবস্থা এখন অনেক উন্নত। আমার লক্ষ্য রাজ্যকে এক নম্বর করে তোলা।
এদিকে, এই সেদিনও জুটমিলের কর্মী ছিলেন। সোমবার থেকে তাঁর হাতেই থাকবে রাজ্যের জুটমিল সহ শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানের ভার। তিনি বেচারাম মান্না। শাসকদলের কৃষকনেতার হাতে শ্রমদপ্তরের দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা-সরকার ক্ষমতার আসার প্রথম দিন থেকেই শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার প্রয়াস করেছে। শ্রমিকদের জন্য একাধিক প্রকল্প নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। মুখ্যমন্ত্রীর সেই সাফল্যের রথ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব সিঙ্গুর-বিজেতা বেচারামবাবুর। তিনি বলেন, কাজের দপ্তর এবং কঠিন কাজ। আমি জুটমিল কর্মী ছিলাম। তাই সেখানকার শ্রমিকদের সমস্যা বুঝি। চা শ্রমিক সহ অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সমস্যাও বুঝতে হবে। আগে একাধিক দপ্তরে কাজ করেছি। ফলে মুখ্যমন্ত্রী ও শ্রমিকদের হতাশ করব না।