শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
চলতি মরশুমের গোড়া থেকেই চটকল মালিকদের অভিযোগ, পাট ব্যবসায়ী (জুট বেলার)-রা অতিরিক্ত মুনাফার জন্য বাড়তি মজুতদারি চালানোয় তাঁদের স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে ছ’হাজার টাকা প্রতি কুইন্টাল দরে কাঁচাপাট কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে তাঁদের। এই অতিরিক্ত দামের জন্য কার্যত প্রয়োজনের তুলনায় তাঁরা ৫০ শতাংশ কাঁচাপাট পাচ্ছেন। এর ফলে গোটা চটশিল্প সঙ্কটে পড়েছে। চটকল মালিকদের এহেন অভিযোগের ভিত্তিতে দু’সপ্তাহ আগে মন্ত্রিগোষ্ঠী প্রথম বৈঠকে বসে। জুট বেলারদের সংগঠন অবশ্য জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের জুট কমিশনারের দপ্তর দেড় হাজার থেকে কমিয়ে মাত্র ৫০০ কুইন্টাল মজুত করার নির্দেশ দেওয়ায় তারা সমস্যায় পড়েছে। এর ফলে তাদের কাজের পরিমাণ কমে এসেছে। তাছাড়া তারা মোটেও বাড়তি মজুতদারি করছে না। বাড়তি দামের আশায় পাটচাষিরাই উৎপাদিত পণ্য মজুত করে রেখেছে। তবে মজুতদারি সংক্রান্ত নির্দেশ নিয়ে সম্প্রতি হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছে। তাতে উচ্চ আদালত জুট কমিশনারের নিদানকেই মান্যতা দিয়েছে। পাশাপাশি
মজুতদারির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
শ্রমদপ্তর সূত্রের খবর, এদিন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রমুখকে নিয়ে গঠিত মন্ত্রিগোষ্ঠী চটশিল্পের সঙ্কট কাটাতে দ্বিতীয়বার আলোচনায় বসেন। বৈঠকে চটকল ও পাট ব্যবসায়ীদের সংগঠনের কর্তারা এবং মলয়চন্দবাবুও হাজির ছিলেন। আদালতের নির্দেশ মতো এদিনই জুট কমিশনারকে ব্যবসায়ীরা তাঁদের বিভিন্ন সংস্থায় কাঁচাপাটের মজুতের হিসেব দাখিল করেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এই তালিকা অনুযায়ী বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করবেন কমিশনার। তারপর ২৯ তারিখ মন্ত্রিগোষ্ঠী সর্বশেষ পরিস্থিতির পাশাপাশি ওই রিপোর্ট পর্যালোচনা করে সঙ্কট দূর করতে যে কোনও ধরনের কড়া পদক্ষেপ নেবে।