শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
কুলুপুকুর গ্রামের এক বাগান মালিক তরুণ পাত্র বলেন, জ্যৈষ্ঠ মাসের ২০ তারিখ থেকে আষাঢ় মাসের ১০ তারিখ সময়ের মধ্যে অধিকাংশ কাঁঠাল পেকে যায়। কিন্তু এবার চাহিদা তেমন না থাকায় অনেকেই গাছ থেকে কাঁঠাল পাড়তে আগ্রহ হারাচ্ছেন। গাছপাকা কাঁঠাল গোরু-বাছুরের ভরাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুরের মড়ার ও বাঁকাদহ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার কুলুপুকুর, ভালুকা, ধবনি, ঘুঘুডাঙা, হিকিমডাঙা প্রভৃতি এলাকায় বহু কাঠাল বাগান রয়েছে। প্রতি বছর পাকা কাঁঠাল বিক্রি করে মালিকরা ভাল টাকা আয় করেন। তবে ১০ বছর আগেও কাঁঠাল পাকার মরশুমে কুলুপুকুর এলাকায় বুনো হাতির ব্যাপক উপদ্রব বাড়ত। পাকা কাঠালের গন্ধে ফি বছর দলমা থেকে হাতির পাল এলাকায় চলে আসত। হাতিতে পাকা কাঁঠাল খেয়ে সাবাড় করে দিত। তাই বাগান মালিকেরা এঁচোড় অবস্থাতেই তা বিক্রি করে দিতেন। বর্তমানে রাজ্য সরকার নানাভাবে হাতিদের গতিবিধিতে অনেকটাই লাগাম টানতে সক্ষম হয়েছে। তাতে ক্ষয়ক্ষতি কমেছে। তাই গত কয়েকবছরে পাকা কাঁঠাল বিক্রি করে কিছুটা আয়ের মুখ দেখা গিয়েছিল। এবছরও হাতির উপদ্রব তেমন নেই। এদিকে কাঁঠালের ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু আত্মশাসন পর্বে গাড়ি-ঘোড়া সেভাবে না চলায় বাইরে থেকে খরিদ্দাররা আসছেন না। দামও তলানিতে পৌঁছেছে। অপর বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন পাত্র বলেন, আগে সেচের সুবিধা না থাকায় চাষের জমিতেও অনেকেই কাঁঠাল বাগান করেছেন। তবে বর্তমানে বহু সাবমার্সিবল পাম্প বসায় চাষবাস বেড়েছে। তাই নতুন করে সেভাবে বাগান তৈরি না করলেও পুরনো বহু গাছ রয়েছে। সেসবে এবার ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু তাতে কী! দামই তো মিলছে না।