শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
লালবাগ মহকুমার মধ্যে রয়েছে পূর্বরেলের শিয়ালদহ-লালগোলা শাখার মুর্শিদাবাদ, জিয়াগঞ্জ, ভগবানগোলা এবং লালগোলা স্টেশন। গুরুত্বপূর্ণ এই শাখায় প্রতিদিন ১৭জোড়া ট্রেন চলাচল করে। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ট্রেনের যাত্রীদের উপর নির্ভর করে মহকুমার কয়েক হাজার টোটোচালক ও তাদের পরিবারের জীবন-জীবিকা। করোনা মোকাবিলায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকায় চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছেন তাঁরা।
লালবাগ শহরের টোটোচালক রতন মণ্ডল বলেন, মুর্শিদাবাদের পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত টোটোচালক সহ সমস্ত পেশার মানুষের আয়ের প্রধান উৎস পর্যটক। দিনের শেষে উপার্জনের সিংহভাগ পর্যটকদের থেকেই আসে।
১৫এপ্রিল থেকে হাজারদুয়ারি সহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলির গেটে তালা ঝুলছে। গত বছরের লকডাউনের ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারিনি। তারমধ্যে আবার ট্রেন বন্ধ। কতদিন এভাবে চলবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।
লালগোলার টোটোচালক রিপন শেখ বলেন, লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে বসে রয়েছি। জিয়াগঞ্জ স্টেশন টোটোচালক সংগঠনের সভাপতি প্রভাস সাহা বলেন, প্রতিদিন সরকারি, বেসরকারি চাকুরিজীবী, ছাত্র সহ কয়েকশো মানুষ ট্রেনে চেপে জিয়াগঞ্জে আসেন। দিনের শেষে ফিরে যান। জিয়াগঞ্জ শহরের পাঁচ শতাধিক টোটোচালক এবং তাঁদের পরিবার এই যাত্রীদের উপরে নির্ভর করে দিন গুজরান করেন। গতবছর বেশ কয়েক মাস বন্ধ থাকার পরে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই ধাপে ধাপে ট্রেন পরিষেবা চালু হয়। কিন্তু কয়েক মাস না যেতেই আবার লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে গেল। টোটোচালক ও তাদের পরিবার আবার চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়ল। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, দলের পক্ষ থেকে টোটো চালকদের পাশে দাঁড়াচ্ছি।