শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
সভাধিপতি নির্বাচনের জন্য আজ, মঙ্গলবার সমস্ত সদস্যদের বহরমপুরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সন্ধ্যার মধ্যে তাঁদের দলের পার্টিঅফিসে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কথা ছিল সদস্যদের সঙ্গে জেলার নেতারা কিছুক্ষণের জন্য বৈঠক করবেন। সেখানেই রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ তাঁদের জানানো হবে। রাতে সমস্ত সদস্যদের বহরমপুরে থাকার বন্দোবস্ত করা ছিল। পরদিন বুধবার সকাল ১১টায় সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। যদিও তা স্থাগিত হয়ে গিয়েছে।কিন্তু সভাধিপতি সহ সভাধিপতির নাম অত্যন্ত গোপনে রাখা হয়েছে। তৃণমূলের এক নেতা বলেন, সভাধিপতি বা সহ সভাধিপতি কে হচ্ছেন তা জেলার কোনও নেতা জানেন না। জেলার নেতারা ওই দু’টি পদে তাঁদের পছন্দের লোকজনদের বসানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কিন্তু সবকিছু বিচার বিবেচনা করে রাজ্য নেতৃত্ব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতি নির্বাচনের কিছু আগে রাজ্য থেকে দু’টি নাম জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাঁদেরই সকলকে মেনে নিতে হবে। তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন, রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত সকলে মানতে বাধ্য।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রাক্তন সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল ও সহ-সভাধিপতি বৈদ্যনাথ দাসের সদস্যপদ খারিজের জন্য সোমবার আবেদন করা হয়েছে। জেলা পরিষদের সদস্যরা আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করে এদিন তা পোস্টের মাধ্যমে ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে পাঠিয়েছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ডিভিশনাল কমিশনারের অফিসে আবেদনপত্র জমা হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই ওই দু’জনকে নোটিস পাঠানো হবে। পরে তাঁদের শুনানিতে ডাকা হবে। ওই দু’জনেই অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। মোশারফ সাহেব কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর নওদার প্রার্থী হয়েছিলেন। বৈদ্যনাথবাবু বিজেপিতে যোগদান করেন। সেই প্রমাণ শাসক দলের কাছে রয়েছে। সেই কারণেই ওই দু’জনের সদস্যপদ খারিজ করা সহজ হবে বলে আধিকারিকরা মনে করছেন। তৃণমূল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বৈদ্যনাথবাবু দলে ফেরার জন্য বেশ কয়েকবার আবেদন করেছেন। কিন্তু তৃণমূলের একটা বড় অংশ চাইছে না তিনি ফের দলে আসুন।
মোশারফ সাহেব অবশ্য এখনও কংগ্রেসে থাকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দু’জন কয়েকদিন আগেই পদত্যাগ করেছেন। তবে তাঁদের জায়গায় কারা বসবেন, তা নিয়ে এখন জেলায় জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। ওই দু’টি পদের জন্য মোট ২৮ জন বায়োডাটা দিয়ে আবেদন করেছেন। সেই বায়োডাটা দেখে সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতি নির্বাচন করা হবে বলে তৃণমূলে একাংশের দাবি। তবে সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতি পদের জন্য চার থেকে পাঁচজনের নাম নিয়ে সবচেয়ে বেশি জল্পনা রয়েছে।