শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
ঘাটাল মহকুমায় কোনও রেলপথ নেই। তাই এই মহকুমার প্রধান রাস্তা হল পাঁশকুড়া-চন্দ্রকোণা (ভায়া ঘাটাল) রাস্তাটি। ওই রাস্তাটি পূর্ব মেদিনীপুরের মেচোগ্রামে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ককে ক্রশ করেছে। দূরদূরান্ত থেকে আসতে হলে রেলে করে পাঁশকুড়ায় নেমে বাস বা অন্য যাত্রীবাহী গাড়িতে করে ওই সড়ক অনুসরণ করে এই মহকুমায় আসতে হয়।ওই সড়কের ঘাটাল শহর সংলগ্ন এলাকাটি দিনের পর দিন চরম ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। ঘাটাল আদালতের এক আইনজীবী দিলীপকুমার দাস বলেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই রাস্তা দিয়ে এত গাড়ি চলাচল করে যে, পারাপার করতে অনেকেই ভয় পান। তাই এর একটা কিছু স্থায়ী সমাধান হওয়া দরকার। সেই সঙ্গে মোড়ে মোড়ে আরও ট্রাফিক পুলিস প্রয়োজন।
শহরের ব্যবসায়ীরা বলেন, দিনকে দিন গাড়ির সংখ্যা বাড়ায় আমাদের চলাফেরা করায় অসুবিধে হয়। যখন করোনা পরিস্থিতি ছিল না, তখন ঘাটাল নতুন ব্রিজ থেকে শুরু করে কুশপাতা পর্যন্ত এই এক কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে সপ্তাহে একটা না একটা দুর্ঘটনা লেগেই থাকত। তাই আমরা চাই, ঘাটাল শহর শুরুর আগে থেকেই একটা বাইপাস রাস্তা হোক। যেটা অন্যান্য শহরে রয়েছে। না হলে এই সমস্যার সমাধান কখনই সম্ভব নয়।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রক ওই রাস্তাটি ১৬৬ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা দিয়ে সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। মোট ৩১ কিলোমিটার ৭৫০ মিটার রাস্তাটিকে দুটি লেনে রূপান্তরিত করা হবে। সেজন্য রাস্তাটিকে ১০ মিটার চওড়া করা হবে। পূর্ত দপ্তরের এক ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে পুরনো এলআইসি অফিস থেকে কুশপাতা পর্যন্ত রাস্তার দু’দিকে পৃথক একটি করে ‘সার্ভিস রোড’ তৈরি করা হবে। কিন্তু এতেও সমস্যার সমাধান হবে না বলে মহকুমার বাসিন্দারা মনে করেন। কারণ, ওই সার্ভিস রোড দিয়ে হেঁটে চলাচল করতে সুবিধে হবে ঠিকই, কিন্তু মূল রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কমবে না। অন্যদিকে রাস্তা চওড়া হলেও ঘাটাল শহরের শিলাবতী নদীর উপর ব্রিজটিকে চওড়া করা হচ্ছে না। ফলে মেচোগ্রাম থেকে রাস্তা চওড়া হলে গাড়ির সংখ্যা আরও বাড়বে কিন্তু ব্রিজটি সরু থাকার জন্য যানজটও বাড়বে প্রচুর। সেক্ষেত্রে ওই রাস্তার নিমতলা থেকে বরদা পর্যন্ত একটি বাইপাস রাস্তা না হলে প্রকৃত সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করেন ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতি সহকারী সভাপতি তথা তৃণমূলের ঘাটাল ব্লক সভাপতি দিলীপ মাজি। তিনি বলেন, আমরা বাইপাস নিয়ে শীঘ্রই একটি প্রস্তাব রাজ্যস্তরে পাঠাব।