উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
গীতাঞ্জলি প্রকল্পে শহর ও গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি তৈরি হয়। বাড়ি তৈরির জন্য বরাদ্দ হয় ৭০ হাজার টাকা। কিন্তু পরবর্তীকালে এই টাকা ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করার কথা বলা হলেও তা হয়নি। জেলা প্রশাসনের কর্তারা বলছেন, গত দু’বছর ধরে এই প্রকল্পে কোনও টাকা বরাদ্দ হয়নি। ফলে নতুন করে বাড়ি তৈরির কাজও ধরা যায়নি। ফলে বলাই যায়, এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
জেলা পরিকল্পনা ও রূপায়ণ আধিকারিক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস বলেন, আমাদের কাছে রাজ্য থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে এটা ঠিক। সেই চিঠির উত্তরও আমরা দিয়ে দিয়েছি। নদীয়া জেলায় এই প্রকল্পে টাকা না থাকার জন্য বাড়ি তৈরি আটকেছে, এমন হয়নি। যে টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, সবটাই খরচ হয়েছে। সামান্য কিছু বাড়ির কাজ শেষ হয়নি। কাজ চলছে। সব কিছুই দপ্তরে জানানো হয়েছে।
আবাসন দপ্তর সূত্রের খবর, একসময় গীতাঞ্জলি প্রকল্পে পাকা বাড়ি তৈরির জন্য ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দেওয়া হতো। পাহাড় অথবা দুর্গম এলাকায় অনুদান ছিল আরও কিছু বেশি। ঠিকাদার নিয়োগ করে বাড়ি তৈরি হতো। পরে বাড়ি-পিছু বরাদ্দ কমিয়ে করা হয় ৭০ হাজার টাকা। ২০১৪ সালে নিয়মের কিছু পরিবর্তন হয়। এই প্রকল্পে গ্রাহক বাছাইয়ের ক্ষমতা দেওয়া হয় জেলাশাসকদের। টাকাও ঠিকাদারদের বদলে গ্রাহকদের হাতে সরাসরি দেওয়া হয় দু’টি কিস্তিতে। ওই টাকায় সত্যিই বাড়ি হল কি না, তা দেখবেন ব্লক স্তরের অফিসারদের। যদিও যে সব বাড়ির নির্মাণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। তাদের টাকা আবাসন দপ্তর পুরনো নিয়মেই মেটায়। এরপর আরও একবার টাকা বাড়ানোর কথা হয়। ঠিক হয় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মিলবে এই প্রকল্পে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত এখনও অবধি কার্যকর হয়নি।
নদীয়া জেলায় ২০১৪-১৫ সালে ২৪৭৭টি, ২০১৫-১৬ সালে ৩৪৫৪টি, ২০১৬-১৭ সালে ৫২৫৪ টি, ২০১৭-১৮ সালে ৭৬১৯টি বাড়ির মধ্যে বর্তমানে ২৮৫টি বাড়ি তৈরির কাজ এখনও চলছে। বাকিগুলির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ২০১৮-১৯ সালে আর কোনও অর্থ বরাদ্দ হয়নি। শুধু বিশেষ ক্ষেত্রে একটি মাত্র বাড়ির জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, গীতাঞ্জলি প্রকল্পটি জেলাশাসকের হাতে থাকায় কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় মানুষ উপকৃত হতেন। যেমন, বাংলার আবাস যোজনায় নির্দিষ্ট লিস্ট ধরেই বাড়ি দেওয়া হয়। এই প্রকল্প বন্ধ হলে তা খুব ভালো কিছু হবে না।