উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
তপন কুণ্ডু নামে পুরসভার কর্মচারী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা সম কাজে, সম বেতনের দাবি জানিয়ে এসেছি। কিন্তু, পুরসভা কর্তৃপক্ষ কখনই আমাদের সেই দাবি মানেনি। এছাড়াও পুরকর্মচারীদের স্থায়ী করণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম অনিয়ম করা হচ্ছে। পুরসভার ১৯ জন কাউন্সিলার মাসে ১২ হাজার টাকা করে ভাতা পান। এছাড়াও তাঁরা পুজোর সময় বোনাস পেয়ে থাকেন। অথচ আমরা ন্যূনতম বকেয়া টাকা এবং বেতন পর্যন্ত পাচ্ছি না। যে কারণে আমাদের কর্মবিরতি ও অবস্থান বিক্ষোভ। পুরকর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এদিকে দ্বিতীয় দিনে পড়া কর্মবিরতি ও অবস্থান বিক্ষোভের জেরে এদিন সকালে তড়িঘড়ি বোর্ড মিটিং ডাকা হয়। ওই মিটিংয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী, ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ চৌধুরী সহ একাধিক কাউন্সিলার ও পুরসভার আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, কাউন্সিলারদের একাংশ কর্মচারীদের বেশ কয়েকটি দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন। যদিও এদিন টানা চার ঘণ্টা মিটিংয়ের পরেও কোনও সমাধানসূত্র বের হয়নি। চেয়ারম্যান বলেন, বিগত দিনের তুলনায় পুর-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। কর্মচারীদের আবেদন করা হচ্ছে তাঁরা যেন কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন। তাঁদের দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা চলছে।
এদিকে, কর্মবিরতির জেরে পুরসভার সাফাই বিভাগ, পানীয় জল সরবরাহ, বিদ্যুৎ, পার্ক, ইঞ্জিনিয়ারিং সহ প্রায় সব বিভাগের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আগামীদিনে পুরসভার কর্মচারীদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকলে পুরসভার নাগরিক পরিষেবা বড় রকম ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করছেন শহরের বাসিন্দাদের একাংশ। সুবীর পাল নামে শহরের এক বাসিন্দা বলেন, পুরসভার কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া সমর্থনযোগ্য হলেও কর্মবিরতি চলতে থাকলে শহরের নাগরিকদের ভোগান্তি বাড়বে।