উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
ইয়েচুরি এদিন বলেন, ভোট শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী নিজেকে চৌকিদার বলে প্রচার করেছেন। চৌকিদাররা সাধারণত মাটিতেই তাঁদের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ভোট পর্ব এগতেই আমাদের এই স্বঘোষিত চৌকিদার বালাকোটে বায়ুসেনার হানাকে টেনে আনলেন প্রচারে। সেই হামলার কৃতিত্ব যত না বায়ুসেনার, তার থেকেও ঢের বেশি তাঁর বলেই তুলে ধরার চেষ্টা করলেন। তাতেও থেমে থাকেননি তিনি। এরপর ‘মিশন শক্তি’ নামের উপগ্রহ ধ্বংসকারী মিসাইল প্রকল্প নিয়েও তিনি ভোটের প্রচারে নিজের কৃতিত্ব জাহির করেছেন। দু’দিন আগে তো পাকিস্তানি রেডারের নজরদারি এড়াতে বালাকোটে মেঘের আড়াল থেকে বায়ুসেনাকে হানাদারির পরামর্শ তিনিই দিয়েছিলেন বলে হাস্যকর দাবিও করে বসেছেন।
মোদি ও বিজেপির পাশাপাশি ইয়েচুরি এদিন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল ও তার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তুলোধোনা করেন প্রত্যাশিতভাবে। তৃণমূল ও বিজেপি মোটেও একে অপরের বিকল্প নয় এবং এই ধরনের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য মানুষকে সতর্কও করেন তিনি। সিপিএমের শীর্ষ নেতা বলেন, আমি কয়েক দফায় এবার রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসেছি। বাংলার মিডিয়ার দৌলতে মনে হবে যেন বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে ভোটের লড়াই হচ্ছে। সারা দেশে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য তৃণমূলকে ভোট দিতে বলছেন তৃণমূল নেত্রী। অথচ এ রাজ্যে গত আট বছর ধরে গণতন্ত্রকে হত্যা করে চলেছে তাঁর দল ও সরকার। একইভাবে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে ভোট চাইছে। যদিও গত পাঁচ বছরে দেশ শাসন করতে গিয়ে প্রতিপদে তারাও গণতন্ত্রের সমাধি তৈরি করেছে। বিজেপি ও তৃণমূলের বিকল্প হিসেবে বামেদের শক্তিবৃদ্ধি জরুরি। একমাত্র তাহলেই কেন্দ্রে একটি জনস্বার্থবাহী, ধর্মনিরপেক্ষ মিলিজুলি সরকার তৈরি হওয়া সম্ভব। কারণ সেক্ষেত্রে অতীতের মিলিজুলি সরকারগুলির মতো বামেরা তাদের ভূমিকা পালন করতে পারবে।
ইয়েচুরির এদিন দমদম কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী নেপালদেব ভট্টাচার্যের সমর্থনে খড়দহের রবীন্দ্রভবন থেকে বরানগর মোড় পর্যন্ত বর্ণাঢ্য রোড শো-এ অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত সময় আগে এই রোড শো-এর অনুমতি চাওয়া হয়নি—এই যুক্তিতে পুলিস উদ্যোক্তাদের ডেকে রোড শো করা যাবে না বলে জানায়। পরিবর্তে বিটি রোর্ডে এক প্রান্ত বন্ধ করে সেখানে জনসভা করেন ইয়েচুরি। পরে বারাসত কেন্দ্রের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী হরিপদ বিশ্বাসের সমর্থনে সল্টলেকে একটি জনসভা করেন তিনি।