শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার মোয়াশিল্পের কেন্দ্রিভবন অঞ্চল বলতে মূলত জয়নগর ও বহড়ু। তবে মোয়ার জনপ্রীতি সবচেয়ে বেশি জয়নগরকে ঘিরে। বছর চারেক আগে বিদেশে বসবাসকারী বাঙালিদের হাত ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে মোয়ার ঢুকে পড়া। এখন সাহেব-মেমদেরও পছন্দের মিষ্টির তালিকায় ঢুকে পড়েছে সে। ফলে রপ্তানি বাড়ছে ক্রমেই। জয়নগরের ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্য বলছে, গত বছর বিদেশে মোয়ার রপ্তানি হয়েছিল সবমিলিয়ে প্রায় ১০০ কোজি। এবার কোভিড মহামারীতে রপ্তানির আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তাঁদের সব আশঙ্কাকে উড়িয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিদেশে মোয়া গিয়েছে প্রায় ২০০ কেজি। অর্থাৎ রপ্তানি বেড়েছে দ্বিগুণ।
মোয়ার বিদেশ-যাত্রা হয় প্রধানত দু’ভাবে। এক, বিদেশে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের কাছে মোয়া ও পাটালি পাঠান রাজ্যের কিছু বাসিন্দা। বেশ কয়েক বছর ধরে শীত মরশুমের মিষ্টি হিসেবে এগুলি পাঠানোর চল শুরু হয়েছে। দুই, জয়নগর ডট কম বলে একটি ওয়েবসাইট মাধ্যমে। সেখানে জয়নগর ও বহড়ুর নামজাদা কিছু মিষ্টির দোকানের তালিকা রয়েছে। বিদেশের ক্রেতারা তাঁদের পছন্দের দোকানে মোয়ার অর্ডার দেন। বহড়ুর এক মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সম্প্রতি লস এঞ্জেলসে মোয়া পাঠানোর বরাত পেয়েছেন। মোট ৮ কেজি মোয়া যাবে সেখানে। পাঠানো হবে পাটালি গুড়ের বেশকিছু প্যাকেটও। বীণাপাণি মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের ব্যবসায়ী গনেশ দাস বলছিলেন, ‘এবার বিদেশ থেকে ভালো অর্ডার পাওয়া গিয়েছে। নলেন গুড়ের পাটালির চাহিদাও বাড়ছে। দামের হেরফের নেই। রাজ্যে ৫০০ টাকা কেজি দরে মোয়া বিক্রি হচ্ছে। পাটালির দর যাচ্ছে ২০০ টাকা। সেটাই নেওয়া হচ্ছে বিদেশের ক্রেতাদের কাছ থেকে। প্যাকেটে মোয়া যাতে এক সপ্তাহ ঠিক থাকে, সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।’ শ্যামসুন্দর মিষ্টান্ন ভান্ডারের ব্যবসায়ী বাবলু ঘোষ ও রঞ্জিত ঘোষ জানিয়েছেন, এখানকার পরিচিতের মাধ্যমে আমেরিকাতেও তাঁদের মোয়া যাচ্ছে। এর আগে জয়নগর ডট কম ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমেরিকায় ২০ প্যাকেট মোয়া পাঠানো হয়েছে। ডিসেম্বর মাস থেকেই বিদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই লন্ডন, দুবাই, অস্ট্রেলিয়ায় ও বাংলাদেশে গিয়েছে চেনা পরিচিতের সূত্র ধরেই। অনেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘অ্যাপেডার মাধ্যমে আমরা মোয়া বিদেশে পাঠাতে পারলে রপ্তানি-বাণিজ্য আরও বাড়বে।’ অ্যাপেডার পূর্বাঞ্চলের ইনচার্জ সন্দীপ সাহা বলেন, ‘আমরা সব ব্যবসায়ীদের সঙ্গেই কথা বলতে চাই। তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা আলোচনা করতে পারি।’