কল্যাণী থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি: রবিবার কল্যাণী স্টেডিয়ামের দুটি ভিভিআইপি বক্সের একটিতে ছিলেন চার্চিল আলেমাও, তাঁর মেয়ে ভালেঙ্কা এবং ছেলে স্যাভিও। ছোট ভাই জোয়াকিম আলেমাও এখন টিমের সঙ্গে যুক্ত নন। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আলেমাও চার্চিল এখন ক্ষমতায় নেই। স্যাভিও আর ভালেঙ্কাই দল চালান। স্যাভিও ম্যাচের পর বললেন,‘আমার এই দলটি গড়তে কলকাতার ছেলে অরিজিৎ প্রচণ্ড সাহায্য করেছে। প্লাজা ইস্ট বেঙ্গলকে জবাব দিতে মোহন বাগানে খেলতে চেয়েছিল। মোহন বাগানের এক গুরুত্বপূর্ণ কর্তার সঙ্গে ওর নাকি কথাও হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মোহন বাগান পিছিয়ে আসায় কাজ সহজ হয়ে গিয়েছে। শুনেছি গতবার ওই কর্তা মোহন বাগানের টিম গড়ার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এবার দল গড়ার দায়িত্বে ছিলেন না।’ চার্চিল পরিবারের কাছ থেকে জানা গেল, করিম বেঞ্চারিফা এই দলের দায়িত্ব নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পর্তুগালের কোচকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়। পুরানো মুখের চেয়ে নতুন মুখকেই চার্চিল কর্তারা গুরুত্ব দিতে চেয়েছেন।
প্লাজা যে ভবিয্যতে মোহন বাগানে আসতে চান তা শুক্রবারই তাঁর কথা বার্তায় ইঙ্গিত ছিল। ইস্ট বেঙ্গলকে জবাব দিতে মোহন বাগানের বিরুদ্ধে এই ম্যাচটিকে বেছে নিয়েছিলেন প্লাজা। মোহন বাগানকে চূর্ণ করে তিনি তাই তৃপ্ত। প্লাজা বলেন, ‘পেড্রো, মার্কোসকে টপকে আমি এবার আই লিগের সর্বাধিক গোলদাতা হতে চাই। চার্চিলকে চ্যাম্পিয়ন করাই আমার এখন লক্ষ্য। আমি বর্তমানকে নিয়ে বাঁচতে চাই। তারপর কলকাতায় ফেরার ব্যাপারটি নিয়ে আমি ভাবব।’এদিন বেশ কিছু মোহন বাগান সমর্থক প্লাজাকে অভিনন্দন জানান। মোহন বাগান জনতার প্রতি হাত নেড়েই তিনি স্টেডিয়াম ছাড়েন।
চার্চিলের কোচ তাভাজ বলেন,‘আমি চারদিন সময় পেয়েছিলাম মোহন বাগান ম্যাচের প্র্যাকটিসে। আগের ম্যাচগুলির ভিডিও দেখে ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। মোহন বাগানের ম্যাচের ভিডিও দেখেছিলাম। আমার দল আই লিগের শীর্ষে থাকলেও বেশ কিছু ভুল ত্রুটি শুধরে নিতে হবে।’ চার্চিল আলেমাও শনিবার রাতে মধ্য কলকাতার এক হোটেলে ওঠেন। সকালে এখানে এসে পেপ টক দেন। কল্যাণী স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো দেখে তিনি মুখ্য আধিকারিক নীলিমেশ রায় চৌধুরিকে ধন্যবাদ জানান।