কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
তিরুবনন্তপুরম, ৮ ডিসেম্বর: ক্যাচ ফেলে ম্যাচ হারল ভারত। পঞ্চম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে লেন্ডল সিমন্সের (৬) সহজ ক্যাচটি ধরতে ব্যর্থ হন ওয়াশিংটন সুন্দর। গত ম্যাচেও দু’টি ক্যাচ গলিয়েছিলেন তিনি। ভুবির চতুর্থ বলে এভিন লুইস (১৬) কট বিহাইন্ড হয়ে মাঠ ছাড়লে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্থ চেষ্টা করেও ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি। তার ফলে যা হওয়ার তাই হল। দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে ৮ উইকেটে জিতে সহজেই সিরিজে সমতা (১-১) ফেরাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জীবন পাওয়ার পর আর পিছন ফিরে তাকাননি দুই ক্যারিবিয়ান ওপেনার লুইস ও সিমন্স। তাঁরা ৭৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ভারতকে পালটা চাপে ফেলে দেন। শেষ পর্যন্ত ৪০ রানে সুন্দরের বলে আউট হন লুইস। তবে দুরন্ত ফর্মে থাকা হেটমায়ার নেমেই চালিয়ে খেলা শুরু করেন। জাদেজার বলে পর পর দু’টি ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি ২৩ রানে আউট হন। বাউন্ডারি লাইনের ধারে হেটমায়ারের দুরন্ত ক্যাচ ধরেন কোহলি।
দিনের নায়ক সিমন্স। গত ম্যাচের ব্যর্থতা কাটিয়ে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন তিনি। ৪৫ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন ক্যারিবিয়ান ওপেনারটি। চারটি করে বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারিও হাঁকিয়েছেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন পুরান। মাত্র ১৮ বলে ৩৮ রান যোগ করেন তিনি। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল দু’শোর উপর। জয়ের জন্য ১৭১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৯ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দু’টি ম্যাচেই ব্যর্থ ভারতীয় বোলাররা। এই বোলিং নিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন না দেখাই ভালো ‘টিম ইন্ডিয়া’র।
হতাশার দিনে উজ্জ্বল ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন সূর্য শিবম দুবে। গত ম্যাচে মাত্র এক ওভার বল করার সুযোগ পেয়েছিলেন। ব্যাট করতে পাননি। তারকাদের ভিড়ে শিবমের মতো তরুণ ক্রিকেটারকে দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হয়েছিল হায়দরাবাদে। কিন্তু রবিবার কেরলে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের একটা সিদ্ধান্তই বদলে দিল শিবমের ক্রিকেট জীবন। এর আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বল হাতে তিনি কঠিন সময়ে উইকেট তুলে নিয়ে দলের জয় প্রশস্ত করেছিলেন। আর এদিন, তিন নম্বরে নেমে শিবম আন্তর্জাতিক টি-২০’তে প্রথম অর্ধশতরান পূর্ণ করেন।
গত ম্যাচে দারুণ ব্যাট করেছিলেন লোকেশ রাহুল। এদিন ১১ রানে তিনি আউট হয়ে যান। সাধারণত তিন নম্বরে ব্যাট করেন কিং কোহলি। গত ম্যাচে ৫০ বলে ৯৪ রানে অপরাজিত থেকে তিনি দলকে জেতানো সত্ত্বেও এদিন তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হয় শিবম দুবেকে। যাঁর মধ্যে অনেকেই যুবরাজ সিংকে খোঁজার চেষ্টা করেন। সুযোগটা দারুণ কাজে লাগালেন মুম্বইয়ের ২৬ বছরের অলরাউন্ডারটি। শুরুতে কিছুটা জড়তা থাকলেও ছন্দে ফিরতে খুব বেশি সময় নেননি শিবম। নবম ওভারে তিনি রীতিমতো কাঁদিয়ে ছাড়েন ক্যারিবিয়ান ক্যাপ্টেন কিয়েরন পোলার্ডকে। ওই ওভারে ভারত মোট ২৬ রান তোলে। তার মধ্যে তিনটি বিশাল ছক্কা হাঁকান শিবম। ১৮ বলে ২৪ রান থেকে এক ধাক্কায় তিনি ২৪ বলে ৪৭ রানে পৌঁছে যান। তাঁর এই ধুন্ধুমার ব্যাটিং কোহলির মুখে হাসি ফুটিয়েছে। ৩০ বলে তিনটি বাউন্ডারি ও চারটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৪ রান করে আউট হন শিবম।
শুরুটা ভালো করেও ১৫ রানে হোল্ডারের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন ‘হিটম্যান’ রহিত শর্মা। ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি ১৯ রানে কেসরিক উইলিয়ামসের বলে সিমন্সের হাতে ধরা পড়তেই মুহূর্তের জন্য গ্যালারিতে স্বজন হারানোর শোকের ছায়া নেমে আসে। গত ম্যাচে এই উইলিয়ামসের ডেলিভারিতে ছক্কা হাঁকানোর পর বিরাটের ‘নোটবুক সেলিব্রেশন’ নজর কেড়েছিল ক্রিকেট দুনিয়ার। ক্যারিবিয়ান বোলারটি যেন তার বদলা নিলেন। তবে এদিন তিনি বাড়তি কোনও উচ্ছ্বাস দেখাননি তিনি।
ঋষভ পন্থ চওড়া ব্যাটেই জবাব দিলেন সমালোচকদের। চাপের মুখে ২২ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের রান ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দেন তিনি। তবে ক্যারিবিয়ান বোলারদের প্রশংসা করতেই হবে। দ্রুত তারা ম্যাচে ফিরে আসে। ভারতকে ১৭০/৭ রানেই আটকে রাখতে সক্ষম হয়। শ্রেয়াস আয়ার (১০) ফের ব্যর্থ। পরের ম্যাচে খেলানো উচিত মণীশ পাণ্ডেকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন উইলিয়ামস ও ওয়ালশ।