কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২০৭ রান তোলার পর অনেকেই হয়তো টিভি’র স্যুইচ অফ করে দিয়ে ভেবেছিলেন, এত বড় টার্গেট তাড়া করে ম্যাচ জিততে পারবে না ভারতীয় দল। কারণ, এর আগে শেষবার ভারত ২০০৯ সালে মোহালিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সর্বাধিক ২০৭ রানের টার্গেট তাড়া করে ম্যাচ জিতেছিল। কিন্তু রান মেশিন কোহলির কাছে সবই সম্ভব। তিনি শুধু দলকে জেতাননি, জিতে নিয়েছেন কোটি কোটি ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীর হৃদয়। তাই ক্রিকেট জনতার আকুল প্রার্থনা, দ্বিতীয় ম্যাচেও যেন ঝলসে ওঠে বিরাটের ব্যাট।
ক্যারিবিয়ান বধে লোকেশ রাহুলের (৪০ বলে ৬২ রান) ভূমিকাও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। রহিত শর্মা শুরুতে সাজঘরে ফেরার পর তিনিই দলের হাল ধরেছিলেন। রহিতের মতো তারকার ব্যর্থতা পুষিয়ে দিতে সফল হয়েছিলেন তিনি। টি-২০ ফরম্যাটে ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করছেন লোকেশ রাহুল। এই সাফল্য ধরে রাখতে পারলে আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-২০ বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তিনি সুযোগ পেতে পারেন।
রহিতের রানে ফেরাটা খুবই দরকার। কারণ, মিডল অর্ডারের উপর ভরসা রাখা যাচ্ছে না। প্রথম ম্যাচে ঋষভ পন্থ চার নম্বরে নেমে চালিয়ে খেলা শুরু করেও বড় ইনিংস গড়তে ব্যর্থ হন। শ্রেয়াস আয়ারও হতাশ করেছেন। বিরাট কোহলি যদি রোবোটিক ইনিংস না খেলতেন, তাহলে ভারতের পক্ষে ম্যাচটা এত সহজে জেতা সম্ভব হত না। কুড়ির ক্রিকেটে সর্বাধিক রানের মালিক রহিত শর্মার (২৫৪৭) ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন কোহলি (২৫৪৪)। দু’জনের মধ্যে মাত্র ব্যবধান কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র তিন রান।
প্রথম ম্যাচ জেতার পরেও স্বস্তিতে নেই ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। বোলিং দুর্বলতা কোচ রবি শাস্ত্রীর কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে। সেই সঙ্গে জঘন্য ফিল্ডিং প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০৭ রান তুলতে সাহায্য করেছিল। দীপক চাহার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন। কিন্তু ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের সামনে তাঁকে বেশ অসহায় দেখিয়েছে। ৪ ওভারে একটি উইকেটের বিনিময়ে তিনি দিয়েছেন ৫৬ রান। ভুবনেশ্বর কুমার (৪-০-৩৬-০) দীর্ঘদিন পর টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিরেছেন। মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। শিবম দুবের মতো তরুণ অলরাউন্ডারকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে না।
স্পিনার চয়নেও বিরাট কোহলিকে আরও সতর্ক হতে হবে। প্রয়োজনে ফিরিয়ে আনতে হবে ‘কুলচা’ জুটিকে। যুজবেন্দ্র চাহাল প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁকে কেন দরকার। পিচের চরিত্র যেমনই হোক, ভারতের এই রিস্ট স্পিনারটি উইকেট নেওয়ার যেমন চেষ্টা করছেন, তেমনি বিপক্ষ দলের রানের গতিতে লাগাম টানার ব্যাপারে যথেষ্ট সক্রিয়। হায়দরাবাদে ওয়াশিংটন সুন্দর (৩-০-৩৪-১) খুবই হতাশ করেছেন। তাই তাঁকে বসিয়ে এই ম্যাচে খেলানো হতে পারে কুলদীপ যাদবকে। মহম্মদ সামি ফিরতে পারেন দীপকের জায়গায়। অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান হিসাবে মণীশ পাণ্ডে দলে ঢুকলে শিবম দুবে হয়তো বাদ পড়বেন।
আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিনের মতো তারকাদের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিন্তু ভালোই পারফর্ম করেছে। ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং বেশ জমাট। বোলিংয়ে খামতি মেটাতে না পারলে তাদের পক্ষে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবে।
ম্যাচ শুরু সন্ধ্যা ৭টায়।